নগরের সব প্রতিষ্ঠান, বিপনী বিতান এবং দোকানের ইংরেজি সাইনবোর্ড সরিয়ে বাংলায় লিখতে হবে। এ জন্য ৩ দিনের সময় বেধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই সময়ের পর বাংলা ছাড়া অন্য কোনো ভাষার সাইনবোর্ড পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নগরের জিইসি, কাজীর দেউড়ি, জামালখান ও চকবাজার এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপনী বিতান এবং দোকানে জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে।
সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক এই অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক, মিজানুর রহমান এবং রেজওয়ানা আফরিন নেতৃত্ব দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জিইসি মোড়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপনী বিতান এবং দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০টি দোকান ও প্রতিষ্ঠানের মালিককে বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড ব্যবহারের নির্দেশনা দেন।
এ সময় ওয়েল ফুড, সুগার বান, সেন্ট্রাল শপিং কমপ্লেক্স, ডিয়ারলি আইসস্ক্রিম, ফ্লেভারস, জামান রেস্টুরেন্ট মেজবানি অ্যান্ড কাবাব, নভোএয়ার লিমিটেড, রয়েল পার্ক রেসিডেন্টশিয়াল হোটেল, মিনিসো, বি-টু, ঢাকা বুট বার্ন, হোসাইন লাইটিং, ভিআইপি অপটিকসকে বাংলায় সাইনবোর্ড ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান চকবাজার, কাজীর দেউড়ি ও এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি এসব এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপনী বিতান এবং দোকান মালিককে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলায় সাইনবোর্ড ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।
জামাল খান এলাকায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। তিনি এই এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপনী বিতান এবং দোকান মালিককে আগামী ৩ দিনের মধ্যে বাংলায় সাইনবোর্ড ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।
অভিযানে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও বিজয়’৭১ এর উপদেষ্টা ডা. মাহফুজুর রহমান, গণ অধিকার চর্চা কেন্দ্রের সুস্ময় চৌধুরী, সোলমান খান, মশিউর রহমান খান, আবদুল মাবুদ, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. আর কে রুবেল, বিজয়’৭১ এর সভাপতি সজল চৌধুরী প্রমুখ।