আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে হলগুলো এখনই খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পরিবেশ ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পরেই শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়ার একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন দেওয়া শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা সংক্রমণের মহামারি। হঠাৎ করে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি পরিকল্পনা করেছে সরকার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অধ্যাপক চন্দ বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের মতো আমাদের দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা টিকা নিচ্ছেন। এরপরের ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে যে শিক্ষার্থীরা থাকেন, তাদেরও টিকা দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পন্ন হলেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয়ভাবে নেয়া হবে, অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনার পরই খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলার অংশ হিসেবে গত বছরের মার্চের ১৭ তারিখ থেকে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি