আফগানিস্তানের যুবকেরা দিন বদলের দিকে ঝুঁকছেন মাশরুম চাষ দিয়ে। নিষিদ্ধ পপি চাষের বদলে মাশরুমের আবাদ আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট দূর হয়ে বেকারত্ব কমবে বলে আশা সবার ।
বছরের পর বছর, আফগানিস্তান পপি উৎপাদনে শীর্ষ দেশ। ২০০২ সাল থেকে যদিও যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে আফিম তৈরির উৎস পপি উৎপাদন বন্ধে। কিন্তু অবস্থার খুব পরিবর্তন হয়নি। এছাড়া জঙ্গিবাদ ও দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতাও এর বড় কারণ।
তবে কয়েক বছর ধরেই অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করেছে। নানামুখী ব্যবসা ও উদ্যোগে আগ্রহী হচ্ছে আফগানরা। তাদেরই একজন রসুল রেজায়ি। কাবুলের বাসিন্দা রসুল ভাগ্য অন্বেষণে বিদেশে কাজ করতে গিয়ে জানতে পারেন মাশরুম চাষের কথা। এরপর দেশে ফিরে শুরু করেন উৎপাদন।
মাশরুম চাষি রসুল রেজায়ি বলেন, দেশে বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি করবো। একদিন মাথায় আসলো রাশিয়ায় আমি মাশরুম খামারে কাজ করেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাচ্ছি না কেন। এভাবেই শুরু করি। শুরুর পর থেকে সাড়াও পেয়েছি বেশ। এখন আমাকে দেখে অনেকেই উৎসাহী হচ্ছে, এটা ভালো লাগছে।
বর্তমানে প্রতি মাসে দু’হাজার ডলার আয় করছেন রসুল রেজায়ি। আর ভবিষ্যতে আরো দামি কয়েকটি জাতের মাশরুম চাষের পরিকল্পনা করছেন।
রসুল রেজায়ি আরো জানান, লকডাউনের সময় হঠাৎ করেই আফগানিস্তানে মাশরুমের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়। এখনো তাই। আমি বলবো, পপির বদলে এর চাষ করে অনেকেই লাভবান হতে পারে। কারণ মাশরুশ খবু ভালো দামে বিদেশেও রপ্তানি করা যায়।
বিক্রেতারা বলছেন, আগের চেয়ে আফগানিস্তানে মাশরুম বিক্রি বেড়েছে বহুগুণ।
মাশরুম বিক্রেতা জাকির হুসেইন মোহাম্মদী বলেন, মাশরুম খেতে খুবই সুস্বাদু। তবে আগে অতটা বিক্রি হতো না। কিন্তু এখন অবস্থাটা পাল্টে গেছে। ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায়, ইদানিং বিক্রি ভালোই হচ্ছে।
আফগান যুবকদের জঙ্গিবাদে জড়ানোর একটা বড় কারণ বলা হয়, বেকারত্ব। নানামুখী উদ্যোগ সেই সমস্যা অনেকটাই নির্মূল করে দিতে পারে।
জয়নিউজ/পিডি