আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিয়ম লঙ্ঘন করার কারণে সবচেয়ে খারাপ আচরণকারী দল হিসেবে নাম লেখালো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
আইসিসি’র ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে উইজডেনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আচরণ নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয় বিতর্কিত “স্যান্ডপেপারগেট কেলেঙ্কারির” পর থেকে। সেবার অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে বল চমকানোর জন্য অবৈধ পথ বেছে নেয়। সেই থেকেই নাকি কোনো দল প্রতি ম্যাচের শতকরা হারে বাংলাদেশের মতো এত নিয়ম লঙ্ঘন করেনি।
এখন অবধি, বাংলাদেশ প্রতি ম্যাচে ০ দশমিক ১২২ শতাংশ হার নিয়ে মোট নয়বার নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যা কোনো আন্তর্জাতিক দলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ইংল্যান্ড যদিও ১২ বার নিয়ম ভঙ্গ করে সবচেয়ে বাজে অবস্থানে আছে, তবু তাদের শতকরা হারও ম্যাচ প্রতি ০ দশমিক ১০৯, যা টাইগারদের তুলনায় কিছুটা কম।
তবে বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা অন্য দলের তুলনায় অনেক কম ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’ পেয়েছে। টাইগাররা নয়টি লঙ্ঘন থেকে মাত্র নয়টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে। অপরদিকে মাত্র চারটি নিয়ম লঙ্ঘনকারী শ্রীলঙ্কা ২৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। আটটি লঙ্ঘনের মধ্যে ১৬টি ডিমেরিট পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে সেরা আচরণকারী দল, কারণ তারা এখন পর্যন্ত একটি মাত্র ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়ে সব থেকে কম নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।
উইজডেনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের টেস্টে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দীনেশ চান্ডিমলের বলে কৃত্রিম পদার্থ প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছিল। এ ঘটনায় শ্রীলঙ্কা নিষিদ্ধ হওয়ার ভয়ে তৃতীয় দিনে প্রথমে ফিল্ডিং নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি শুরু হওয়ার পর, শ্রীলঙ্কাকে এই ঘটনার জন্য মোট ২৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট হস্তান্তর করা হয়েছিল।
প্রাথমিক অপরাধ, পুনরায় খেলা শুরু করতে অস্বীকৃতি জানানো, চন্ডিমলের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে লঙ্কার কয়েকজনকে এবং চন্ডিকা হাথুরুসিংহ ও আসাঙ্কা গুরুসিনহাকে ছয়টি করে ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল।