দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন নিয়ে তত্ত্বগত ও ব্যবহারিক গবেষকদের মাঝে কিছু দূরত্ব রয়েছে। এ দূরত্ব দূর করে উন্নয়ন গবেষকদের ভাবনার সম্মিলন ঘটাতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় অনুষদ অডিটোরিয়ামে ‘রি-থিংকিং ডেভেলপমেন্ট ইন সাউথ এশিয়া-২০১৮’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন সমাজবিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং কনফারেন্সের আহবায়ক প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
চবি সমাজবিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত এ কনফারেন্স শুরু হয় রোববার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায়।
স্বাগত বক্তব্যে ড. ফরিদ আরো বলেন, এই কনফারেন্স দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন ভাবনার জন্য একটি মাইলফলক। এ আয়োজন দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনার দিকনির্দেশক হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশ থেকে আসা গবেষকরা দক্ষিণ এশিয়ার স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, অবকাঠামো, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন বিষয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরবেন। দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন সহযোগীদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলরাও এ কনফারেন্সে তাদের মতামত ও ভাবনা তুলে ধরবেন। উদ্যোগ হিসেবে এ কনফারেন্স ভূমিকা রাখবে। কারণ কনফারেন্সে শিক্ষক, গবেষক ও উন্নয়ন সহযোগীরা এক ছাদের নিচেই তাদের মুল্যবান ভাবনার সম্মিলন ঘটাবেন।
ড. ফরিদ বলেন, উন্নয়ন নিয়ে একটি মৌলিক ভাবনা থাকা উচিত। স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, পরিবেশসহ উন্নয়নের নানা স্তরে কাজ করা গবেষক ও উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যকার দূরত্ব কমানো উচিত। এতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে।
এ কনফারেন্সে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। সম্মানিত অতিথি চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।
কনফারেন্সে আমেরিকা, চীন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপালসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ জন শিক্ষক ও গবেষক অংশ নিচ্ছেন। এতে ৯০টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্সটি আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
সকালে এ কনফারেন্স উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
জয়নিউজ/ফরহান অভি/মনির ফয়সাল/আরসি