চট্টগ্রামে হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ২০০ জন। এজন্য তিন কারণকে দায়ী করলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি জয়নিউজকে বলেন, করোনা রোগীর বৃদ্ধি পাওয়ার প্রথম কারণ হলো অনেকে ভ্যাকসিন নিয়ে নিজেদের মধ্যে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস চলে এসেছে। তারা ভাবছে যে আর করোনা আক্রান্ত হবেন না।
দ্বিতীয় যে কারণটি সেটি হলো স্বাস্থ্যবিধি কেউই মানছে না। দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার করা, হাত ধোয়া, হ্যান্ডসেনিটাইজার ব্যবহার করা এসব উঠে গেছে বলা চলে।
সর্বশেষ কারণ হলো দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছিলো কিন্তু গত বছর এমন দিনে। আবহাওয়ার একটা ব্যাপারও রয়েছে। এই সময়ে ফ্লু জনিত রোগ একটু বেশি ছড়ায়।
সেক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, আমরা প্রথম থেকে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রেখেছি। যদি আরো প্রয়োজন হয় পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুত।
জনসাধারণকে সচেতনতার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আসলে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
যেহেতু মার্চ মাসে করোনা বৃদ্ধিটা অনেকটায় বেড়ে গেছে তাই ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ২২ মার্চ একটি সভা রয়েছে। সেখানে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আক্রান্ত ২০০ জনসহ মোট আক্রান্ত ৩৭ হাজার ৪৪০ জন। তবে এই সময়ে মারা যাননি কেউ।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ৫টি ল্যাবে এক হাজার ৮৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৯৯৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জন এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৫০১টি নমুনা পরীক্ষায় ৭০ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়।
এদিকে প্রাইভেট হাসপাতালের মধ্যে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জন এবং শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪০ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরের ১৬৯ জন এবং উপজেলায় ৩১ জন।
জয়নিউজ/পিডি