ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও ওড়াকান্দিসহ পুরো জেলা ঢেকে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। জনসভার জন্য মঞ্চ তৈরির কাজও শেষ প্রায়।
মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে দলিত সম্প্রদায়ের তীর্থভূমি কাশিয়ানীর ওড়াকান্দি গ্রামে যাবেন তিনি। হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা-অর্চনা শেষে ভাষণ দেবেন জনসভায়। নিজস্ব রীতিতে তাকে বরণ করতে প্রস্তুত মতুয়া ভক্তরাও।
সমাবেশে সাড়ে ৩শ’ মতুয়া ভক্ত অংশ নেবেন। ওড়াকান্দি ঠাকুর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রূপার নৌকা ও নরেন্দ্র মোদিকে পদ্মফুল উপহার দেয়া হবে।
দুই প্রধানমন্ত্রীর নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঠাকুরবাড়ির চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নেয়া হয়েছে চারস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে পুরো এলাকা।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা জানান, এই সফরের সময় নিশ্চিত নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে আমরা গোপালগঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী, নিরাপত্তা কর্মী এবং সাংবাদিকসহ তিন হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করেছে গোপালগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ। ভিআইপিদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুটি কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স ও হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন।
ভিআইপি গেস্ট হাউস, বিশ্রামাগার এবং পাবলিক টয়লেট তৈরির পাশাপাশি সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগ।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা সফরের অপেক্ষা করছি। আশা করছি এই সফর সুন্দর ও সফল হবে।
জয়নিউজ/পিডি