সাইফ আজাদ, পেশায় মিডিয়াকর্মী। ফিরিঙ্গিবাজারের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালী বেড়াতে যান আজাদ। পরদিন দুপুরে ঘরে ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক চেষ্টা করে ঘরের লক খুলে চোখ ছানাবড়া। ঘরের সব জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। পেছনের বেলকনির গ্রিল কাটা থেকে বুঝতে পারেন তার ঘরের মূল্যবান সব জিনিস চুরি হয়ে গেছে।
ঘরের আলমারি, ওয়ারড্রব, ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার সব ফাঁকা। দুলাখ টাকার একটি ক্যামেরা, দুটি ল্যান্স, তিনটি ক্যামেরার ব্যাটারি, দুটি মেমোরি কার্ড, স্বর্ণালঙ্কার, দামি এলইডি টিভি ও নগদ ৩০ হাজার টাকা গায়েব।
বিষয়টি সদরঘাট থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে শুরু হয় চোর-পুলিশ খেলা। সংঘবদ্ধ চোরের দলকে ধরতে বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে একজন চোরকে শনাক্ত করে থানা পুলিশ।
এরপর কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্যা এলাকায় রোববার (২১ মার্চ) রাতে অভিযানে নামে পুলিশ। একে একে গ্রেফতার করা হয় চোরাই মালসহ ২ জনকে। তবে নগদ টাকাগুলো আগেই সাবার করে ফেলেছে চোরের দল।
গ্রেফতার দুই চোর হলো ফেনীর সোনাগাজী এলাকার হাজিপুর গ্রামের মৃত নাদু মিয়ার ছেলে মো. বাবলু (৩০) ও সদরঘাট থানার স্ট্র্যান্ড রোডের রেলী কলোনির মৃত মো. মঞ্জু মিয়ার ছেলে মো. শাহীন মিয়া (৩০)।
ভুক্তভোগী সাইফ আজাদ জয়নিউজকে বলেন, ঘটনার পরপর সদরঘাট থানা পুলিশ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই সদরঘাট থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেনকে। যার চৌকস নেতৃত্বে সদরঘাট থানার পুরো টিম যেভাবে অপারাধী শনাক্ত, মালামাল উদ্ধার এবং আসামি গ্রেফতার করেছে, তা ভূয়সী প্রশংসার দাবিদার।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সদরঘাট থানার এসআই আক্তার হোসেন জয়নিউজকে বলেন, ঘরের গ্রিল কেটে আনুমানিক ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকার জিনিসপত্র চুরি করা হয়। এ ব্যাপারে সদরঘাট থানায় মামলা করা হলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই দুই চোরকে মালামালসহ গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।