সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি পূজায় অংশ নেন।
এর আগে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টার ঈশ্বরীপুরের হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে তিনি কালীমন্দিরে যান।
যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পুরোহিত দিলীপ মুখার্জি বলেন, কালীমন্দিরে পূজা শেষে তিনি টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনে সাতক্ষীরায় ঈশ্বরীপুরে বিভিন্ন পর্যায়ে ১ হাজার ৩০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন আরও ২০০ পুলিশ সদস্য। বিভিন্ন এলাকায় লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
নরেন্দ্র মোদি ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটিতে পূজা শেষে আবার চড়বেন হেলিকপ্টারে। তাঁর পরের গন্তব্য গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া। বেলা ১১টার কিছু আগে নরেন্দ্র মোদি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গিয়ে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
টুঙ্গিপাড়া থেকে নরেন্দ্র মোদি যাবেন গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে। তিনি ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাণপুরুষ হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা দেবেন।
দুপুরে ঢাকায় ফিরবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিকেলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করবেন। তার আগে দুই প্রধানমন্ত্রী একান্তে আলোচনা করবেন।
সবশেষে নরেন্দ্র মোদি বঙ্গভবনে যাবেন। সন্ধ্যায় সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ঢাকা ছেড়ে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি শুরুর পর মোদি প্রথম বিদেশ সফর করছেন। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির এটা দ্বিতীয় ঢাকা সফর। এর আগে ২০১৫ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন মোদি।