জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, লকডাউনে জরুরি সেবা দেয়— এমন প্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু খোলা থাকবে। শনিবার (৩ এপ্রিল) বেইলি রোডের বাসা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আপাতত এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করছি। সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। সব ধরনের মার্কেট বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও গণমাধ্যম অফিস খোলা থাকবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, লকডাউন চলাকালীন শিল্প-কলকারখানা খোলা থাকবে। তবে শিফটিং ডিউটি চালু করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকদের কাজ করা নিশ্চিত করতে হবে।
“মানুষের চলাচল সীমিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আটকে থাকা লোকজনের কথা বিবেচনা করে একদিন পর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন করা হতে পারে। সেখানে সব বিষয়ে বিস্তারিত বলা হবে।
এদিকে আজ দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন থাকবে।
এর আগে ২৯ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সেবাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানা অর্ধেক জনবল দ্বারা পরিচালনা, উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা, জনসমাগম সীমিত করা, গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।