হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত রাঙ্গুনিয়ার কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মহিবুল্লাহ (৫৪) মারা গেছেন।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (৩ এপ্রিল) রাতে নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাঙ্গুনিয়ার কোদালায় মিছিল করেন তার সমর্থকরা।
মিছিলটি পূর্ব কোদালা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। এসময় দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের সামনে মিছিল থেকে লাঠিসোটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন যুবলীগ নেতা আবদুল জব্বার, দিলদার আজম লিটন ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিব্বুল্লাহকে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মুহিবুল্লাহকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম গণমাধ্যকে জানান, হামলায় গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিব্বুল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন বলে শুনেছি। মারধর, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মারধরের ঘটনার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে আ.লীগ নেতা মো. মুহিবুল্লাহ’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
জয়নিউজ/পিডি