কক্সবাজারের দরিয়ানগরের সমুদ্রসৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে আরও একটি মৃত তিমি। এটির ওজন দুই থেকে আড়াই টন হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দারা।
শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে জোয়ারের সময় সাগরের পানিতে মৃত অবস্থায় ভাসমান তিমিটি দেখে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা বনবিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরে খবর দেয়। এর আগে শুক্রবার আরো একটি মৃত তিমি ভেসে এসেছে। যা নমুনা সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. ইসমাইল জানান, সকালে মৃত তিমিটি ভেসে আসে। যার বিভিন্ন অংশ পঁচে গেছে, দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, একদিনের ব্যবধানে দুইটি তিমি মৃতাবস্থায় ভেসে আসা আশংকাজনক। এর আগে ১৯৮০ ও ১৯৯০ সালে পৃথক দুটি বিশাল তিমি এভাবে ভেসে এসেছিল। দীর্ঘদিন পর আবার বিশাল মৃত তিমি সৈকতে ভেসে এসেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তিমি দুটি একই প্রজাতির। গভীর সমুদ্রে ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় তিমির মৃত্যু হতে পারে। অথবা বিষাক্ত বর্জ্য খেয়ে ফেলার কারণেও তিমির মৃত্যু হতে পারে। এই তিমির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা না গেলেও শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে নমুনা সংগ্রহের পর আগের মতো এটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। এরপর ৩ সপ্তাহ পর তিমির কংকাল সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হবে।