অনলাইনে বোধনের বর্ষবরণ

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ শিরোনামে অনলাইনে অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিল বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম।

- Advertisement -

বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সংগঠনটির ফেইসবুক পেইজের লাইভে এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

- Advertisement -google news follower

বোধনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য আবৃত্তিশিল্পী প্রশান্ত চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে নববর্ষ আবাহন করেন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।

তিনি কবিগুরুর “এসো হে বৈশাখ” এর পংক্তিমালা উল্লেখ করে বলেন, নববর্ষ সমাজের সকল অসংগতি কাটিয়ে নতুনভাবে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

- Advertisement -islamibank

কথামালায় অংশ নিয়ে একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক ও কবি আবুল মোমেন বলেন, করোনার কারণে উৎসবের বিপরীতমুখী বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। এই বাস্তবতায় আমাদের উৎসবের বার্তা নতুন করে শোনাতে হবে। আমাদের সুন্দর, সুশৃংখল, যথাযথ জীবনযাপন আমাদের উৎসবকে যথাযথ আঙ্গিকে পালন করতে সাহায্য করবে।

আবৃত্তি শিল্পে একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় সকলকে সম্পৃক্ত করার জন্য বোধনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, লকডাউন, রমজান মাস আজকে থেকে শুরু। এর মধ্যেও কিন্তু আমরা যতটুকু পারা যায় সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হলেও আমরা প্রাণের উৎসব পালন করছি।

এছাড়াও তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং চীনে নববর্ষ কিভাবে ও কি নামে পালিত হয় তার উপর আলোকপাত করেন।

নাট্যকলায় একুশে পদক প্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, আমি যদি বাইরে যেতে না পারি, মানুষের কাছে যেতে না পারি, ছোঁয়া না পাই, গাছের নিচে বসে গান শুনতে না পারি তাহলে ঐ উপলব্ধিটি থাকে না। প্রকৃতি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, আমাদের ঘুড়ে দাঁড়াতে হবে। মহামারী কেটে যাক, আবার মানুষ উঠে দাঁড়াক।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোধনের সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষ। তিনি শৈশবের বর্ষবরণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, করোনার কারণে আমরা বর্ষবরণে যেতে পারছি না, কিন্তু আমাদের প্রাণ তো থেমে নেই, আমাদের আকাঙ্ক্ষা থেমে নেই। তাই অন্তত অনলাইনে প্রাণের বন্ধুদের সাথে দেখা করার প্রয়াস বোধন নিয়েছে। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানে যারা সম্পৃক্ত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি এজাজ ইউসুফী এবং কবি সুব্রত চৌধুরী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ড. অমিতাভ কাঞ্জিলাল (ভারত), শিমুল নন্দী, মৌমিতা চৌধুরী। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী পপলি চক্রবর্তী, মন্দিরা চৌধুরী এবং মধুলিকা মন্ডল। নৃত্য পরিবেশন করে ওডিসি এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার এবং নটরাজ নৃত্যাঙ্গন একাডেমি।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী অসীম দাশ ও হোসনে আরা তারিন।

জয়নিউজ/পিডি

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM