করোনায় আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত সোয়া ৯টার দিকে বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে নেওয়া হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সিটি স্ক্যান করা হবে।
বিএনপির একটি সূত্র জানান, এই বিধিনিষেধের মধ্যে খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে প্রাঙ্গণে কোনো ভিড় হোক সেটা চায় না দল ও পরিবার। এই কারণে গোপনীয়তা বজায় রেখে তার সিটি স্ক্যান করানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আর এই কাজের তত্ত্বাবধানে আছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া ইউংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আমি জানি না কখন ম্যাডামের সিটি স্ক্যান করানো হবে। এটা ডাক্তার আর পরিবারের বিষয়।
এর আগে সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে দেখে এসে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, কোভিডে আপনি কখনও বলতে পারবেন না যে আগামীকাল আপনার অবস্থা কেমন হবে। এটা খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল একটি ভাইরাস। তবুও আমরা খুব দ্রুত তার সিটি স্ক্যান করাব। সিটি স্ক্যান করার পর যদি দেখি বাসায় রেখে চিকিৎসা করাটা তার জন্য ভালো হবে, তখন সেটাই করা হবে।
তিনি বলেন, সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে যদি মনে হয়, কয়েকদিনের জন্য তাকে হাসপাতালে রেখে অবজারভেশন করব, তখন সেটাই করা হবে। অর্থাৎ সিটি স্ক্যানের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কোথায় হবে।