মাইদুলের মোবাইলের ফরেনসিক টেস্ট চায় পুলিশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক মাইদুল ইসলাম যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করেছেন সে মোবাইলটির ফরেনসিক টেস্ট করতে চায় পুলিশ। এ বিষয়ে মোবাইল সেটটির তথ্য ও নথি সংগ্রহ করতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া মাইদুল ইসলাম কোন অপরাধী চক্রের সদস্য কিনা তাও জানতে চায় পুলিশ।

- Advertisement -

গত বুধবার (৩ অক্টোবর) মাইদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ড চায় পুলিশ। রিমাণ্ড চাওয়ার কারণগুলো ব্যাখ্যা করে আদালতে উপস্থাপিত পুলিশের আবেদনে এসব বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

- Advertisement -google news follower

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী থানা পুলিশের পরিদর্শক শামীম শেখ চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করেন। সোমবার (৮ অক্টোবর) শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি হবে না সে বিষয়ে আদালতে শুনানি হবে।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক বীজন বড়ুয়া জয়নিউজকে জানান, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত এ বিষয়ে ৮ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

- Advertisement -islamibank

জানা গেছে, গত ৩ অক্টোবর হাটহাজারী থানা পুলিশের পরিদর্শক শামীম শেখ চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চবি সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আসামি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ‘হাসি না’ লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কোন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র হলের ডাইনিং ও শোবার একটি কক্ষের ছবির উপর এডিট করে ডালের বাটি বসিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবির ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে তিনি লিখেন, ‘‘অত:পর তোমরা আম্মাজানের কোন কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করতে পারো।’’ যার স্ক্রিনশট ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আসামির এ কাজটি জঘন্য প্রকৃতির অপরাধ। তদন্তের স্বার্থে আসামিকে রিমান্ডে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

রিমান্ডে আনার চারটি কারণ হিসেবে ওই আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা শামীম শেখ উল্লেখ করেন, আসামি কোন অপরাধ চক্রের সাথে জড়িত কিনা, কেন কি উদ্দেশ্যে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, আসামি যে মোবাইল ফোন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সে মোবাইলের ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথি সংগ্রহ এবং ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পাঁচদিনের রিমান্ড প্রয়োজন।

এর আগে গত ২৩ জুলাই চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় চবি শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন চবি ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইফতেখার উদ্দীন আয়াজ। এ মামলায় মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগ তোলা হয়। উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন মাইদুল ইসলাম। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দীন মো. জাহাঙ্গীর জয়নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠা চবি শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তিনি অন্য কোন পেশাদার অপরাধী চক্রের সাথে জড়িত কিনা এবং তাঁর মোবাইল ফোন থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে মোবাইলটির ফরেনসিক টেস্ট জরুরি। তাই মোবাইলটির তথ্য ও নথি সংগ্রহ করতে রিমান্ড আদেশ পেলে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

 

জয়নিউজ/শহীদ

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM