আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে দেশের উলামায়ে কেরাম হেফাজতের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। মুফতি ইজহার হেফাজতের কেউ নন।
রোববার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বিরুদ্ধে কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে মুফতি ইজহারুল ইসলামের বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
এর আগে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মু. সলিমুল্লাহ, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দিন, মাওলানা আশরাফ আলী নেজামপুরী, মাওলানা ইসহাক মেহেরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আনাস মাদানী ও মাওলানা মুফতি রহিমুল্লাহ।
এদিকে এ বিষয়টি মানতে নারাজ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম। তিনি জয়নিউজকে বলেন, আমি হেফাজতের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। আমার পরামর্শে আল্লামা আহমদ শফী আমীর এবং আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মহাসচিব হয়েছেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমি হেফাজতের প্রতিটি ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। আমি হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা নায়েবে আমির ছিলাম এবং এখনও আছি। আমি হেফাজতের সংস্কার ও উক্ত সংগঠনের অর্থের হিসাব চেয়েছি বলে তাদের চক্ষুশূল হয়েছি।
অপরদিকে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, ১ অক্টোবর হাটহাজারী মাদ্রাসায় চট্টগ্রাম জেলা বেফাক কর্তৃক আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আল্লামা শাহ আহমদ শফী স্পষ্ট বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগ হয়ে যায়নি। যারা তাঁকে আওয়ামী লীগ বলেছেন তারা মিথ্যাবাদি। মিথ্যাচার কখনো স্থায়ী হয় না। তিনি তাঁর আদর্শে অবিচল রয়েছেন এবং হেফাজতের সমস্ত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে অটল রয়েছেন।