নগরের আগ্রাবাদ মৌলভীপাড়ায় এক আইনজীবীকে জিম্মি করার ঘটনায় সহযোগীসহ নারী প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে মৌলভীপাড়ার ইউসুফ হাজী বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ওই প্রতারকের নাম জোবাইদা সুলতানা হীরা ওরফে সোনিয়া (২৫)। তার সহযোগী ইমরান (২৭)। সোনিয়ার বিরুদ্ধে একটি হত্যাসহ তিনটি মামলা রয়েছে। ইমরানও তিন মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) জানান, ইউসুফ হাজী বাড়ির জাহেদের বসতঘরের নিচ তলার একটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে জিম্মি অবস্থায় থাকা অ্যাডভোকেট এস এইচ এম হাবিবুর রহমান আজাদ (৫২) নামের ওই আইনজীবীকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, সোনিয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের প্রধান। তার গ্রুপে আরও চারজন ছেলেও আছে। সোনিয়া প্রেমের অভিনয় করে ছেলেদের নিজঘরে নিয়ে আসে। এরপর চক্রের অন্য সদস্যরা অশ্লীল ছবি তুলে জিম্মি করে টাকা আদায় করে। যারা ছবি দেখেও টাকা দেয় না তাদের মারধর করে এবং প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। তাদের হাতে এভাবে জিম্মি অবস্থায় ২০১৩ সালে একজন মারা যায়।
তিনি আরও জানান, আইনজীবী হাবিবুর রহমান আজাদকে একটি মামলার বিষয়ে কথা আছে বলে চৌমুহনী এলাকায় দেখা করে সোনিয়া। একপর্যায়ে সেখান থেকে মৌলভীপাড়ার বাসায় যেতে বলে। আইনজীবী সেই বাসায় যাওয়ার পর তিন যুবক তাকে আটক করে রাখে। পরে তারা ২০ হাজার টাকা দাবি করে আইনজীবীর কাছে। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এসময় ওই আইনজীবী কৌশলে থানায় ফোন করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ আসার আগেই প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেলেও সোনিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে তার সহযোগী ইমরানকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া পুলিশকে জানিয়েছে, গত ১০ বছরে কমপক্ষে ৫০টি জিম্মির ঘটনা ঘটিয়েছে তার চক্র। সোনিয়ার বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। এছাড়া চক্রে জড়িত প্রত্যেকেই ২ থেকে ৩ মামলার আসামি।— যোগ করেন ওসি।