ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে আজ। রোববার (২ মে) সকাল থেকেই চলছে ভোট গণনা। গণনা শেষ হতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু দুপুর ১টার মধ্যেই ২০০ আসনে এগিয়ে গেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।
কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস ২০৮টি আসনে এবং বিজেপি ৮০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তৃণমূল ১৭৮ আসনে এবং বিজেপি ১০৮ আসনে এগিয়ে রয়েছে। তবে এনডিটিভি জানিয়েছে, তৃণমূল ২০৩ আসনে এবং বিজেপি ৮৬ আসনে এগিয়ে রয়েছে।
এই পরিসংখ্যানেই জয় সম্পর্কে নিশ্চিত তৃণমূল। তবে ভারতের করোনা যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তাতে এটা উচ্ছ্বাস দেখানোর সময় নয় বলে জানিয়েছেন মমতা সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তার মতে, ‘এই জয়ে কোনো বিজয় মিছিল হবে না। এটা আনন্দ করার সময় নয়। রাজ্যে কত মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমার নিজের অনেক আত্মীয় মারা গিয়েছেন। এমনকি যারা আমাকে ভোট দিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই নেই। এই অবস্থায় বিজয় মিছিল বা আনন্দ করার মতো মানসিক অবস্থা নেই আমার।’
বিধানসভা নির্বাচনে ফিরহাদ নিজে কলকাতা বন্দর থেকে প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে রোববার দুপুর পর্যন্ত বিজেপির আওয়ধ কিশোর গুপ্তর সঙ্গে তার প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ১৭ হাজার। তবে নিজের জয়ের ব্যাপারে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।
তিনি বলেন, ‘কোনো দুশ্চিন্তা নেই আমার। মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি নিজেকে ‘ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, টু দ্য পিপল’ বলে মনে করি। মানুষ বিবেচনা করে মতামত দিয়েছেন।’
তবে নিজের কেন্দ্রে ফিরহাদ প্রতিপক্ষের থেকে নিরাপদ ব্যবধান বজায় রাখতে সক্ষম হলেও, নন্দীগ্রাম ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পিছিয়ে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে ফিরহাদের বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা কাজ করেছি। উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো ধর্ম, বর্ণ, জাতির ভিত্তিতে ভোট হয় না পশ্চিমবঙ্গে। দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমকায় ফিরছে তৃণমূল। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’