দুই দফা বৃষ্টির বাধা পেরিয়ে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম দফায় অপেক্ষাটা ছিল ২৬ মিনিটের, দ্বিতীয় দফায় সেই অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হয়। ৩৮ মিনিট অপেক্ষা শেষে মাঠে নেমেই পান সেঞ্চুরি। ভানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে ফ্লিক শটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৫ ইনিংস পর সেঞ্চুরি পেলেন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান।
‘আমি রাসেল কিংবা পোলার্ড নই’— একদিন আগে ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নিজের সামর্থ্যের কথা জানিয়ে বলেছিলেন মুশফিক। ক্যারিবীয় দুই ব্যাটসম্যানের মতো পাওয়ার হিটিংয়ে পারদর্শী নন তিনি। তবে দলের স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করার মূল কাজটা নিয়মিতই করছেন মুশফিক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচেই দলের বিপর্যয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভুল হয়নি, তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি।
আগের ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে আরও কঠিন পরিস্থিতির সামনে ছিলেন এই উইকেটকিপার। ওই অবস্থা থেকে ঠাণ্ডা মাথায় খেলেছেন দারুণ একটি ইনিংস।
প্রথম দফায় বৃষ্টির কারণে ২৬ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। বৃষ্টির পর ৮৪ রান নিয়ে খেলতে নামেন মুশফিক। নেমে আরও ১২ রান যোগ করেই দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি বাধায় পড়েন। ৩৮ মিনিট পর ফের খেলা শুরু হয়। দ্রুততার সঙ্গে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১১৪ বলে ৬ চারে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি।
ইনিংসের প্রায় পুরোটাই মুশফিক গড়েছেন সিঙ্গেল ও ডাবলসের ওপর ভিত্তি করে। ১৮.২ ওভারে দাসুন শানাকার বলে প্রথম বাউন্ডারি নেন মুশফিক। তখন তার রান ২৭ থেকে ৩১ পৌঁছে। ৩৮তম ওভারে হাসারাঙ্গার বলে দ্বিতীয় চার মেরে ৭৪-এ পৌঁছান মুশফিক। ৮০’র ঘরে গিয়ে বেশ কিছু বাউন্ডারি মেরেছেন। পাওয়ার হিটিংয়ে স্কিল কম থাকলেও কীভাবে সিঙ্গেল ও ডাবলস নিয়ে স্কোর গড়তে হয়ে, সেটি এই ম্যাচে ভালো করেই দেখালেন মুশফিক।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিক। এরপর আরও কিছু ম্যাচে সেঞ্চুরির সুযোগ থাকলেও মিস করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যপ্রান্তে যোগ্য সঙ্গীর অভাবে সেবার সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত ম্যাচে নিজের ভুলেই সেঞ্চুরি পাননি। দুর্দান্ত খেলতে থাকা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রিভার্স সুইভ করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সেঞ্চুরি করার পথে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১ হাজার রান পূর্ণ করেন মুশফিক। ক্যারিয়ারের ৮ সেঞ্চুরির মধ্যে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই মুশফিকের সর্বোচ্চ দুটি করে সেঞ্চুরি রয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রয়েছেন একটি করে সেঞ্চুরি।