গভীর নিম্নচাপটি আরও দুর্বল হয়ে উত্তর দিকে সরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এখন এটি ভারতের ঝাড়খণ্ড এলাকায় অবস্থান করেছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
তবে এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বইবে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হবে এবং একইসঙ্গে জোয়ারের পানি ২ থেকে ৪ ফুট বেশি হবার শঙ্কা রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর আগের মতোই তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বায়ু চাপের আধিক্য বিরাজ করছে। এজন্য খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট , ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাগুলো এবং তার আশপাশের দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুটে বেশি উচ্চতার জোয়ারের শঙ্কা আছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী ভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা,বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া অন্য এলাকায় ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।