শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দল। তবুও তৃপ্ত ছিলেন না দলের অধিনায়ক থেকে শুরু করে সিনিয়র ক্রিকেটাররা। পরিপূর্ণ ক্রিকেটটা খেলা হচ্ছিল না টাইগারদের। দলপতি তামিম ইকবালের সঙ্গে সুর মিলিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও জানান, এখনও সেরাটা দেওয়া বাকি তাদের।
শেষ ম্যাচে পরিপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা, উল্টো ম্যাচ হেরেছে ৯৭ রানে। এই ম্যাচ হারের পর সিরিজজয়ী অধিনায়ক তামিমের কণ্ঠে হতাশার সুর। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে তামিম বললেন, নিখুঁত ম্যাচ খেলা হয়নি তাদের।
তামিম বলেন, ‘গত ম্যাচের পর এবং এ ম্যাচের শুরুতে আমি যেমনটা বলেছিলাম, আমরা সিরিজ জিতেছি কিন্তু একবারও নিখুঁত ম্যাচ খেলিনি। আমরা এই সিরিজে আমাদের সম্ভাবনার পুরোটা দিয়ে খেলতে পারিনি। সিরিজ জেতার পর আমি বলতে পারি যে আমাদের কাজ করার মতো কিছু জায়গা আছে।’
সিরিজজুড়ে দলের ব্যাটিং বিভাগ সামলেছেন সিনিয়ররা। শেষ ম্যাচে রিয়াদ রান পেলেও ব্যর্থ মুশফিক ও তামিম। ফল দৃশ্যমান, ম্যাচ হারতে হয় টাইগারদের। তরুণরা রানের দেখা পাচ্ছেন না। দলের প্রয়োজনেও নিষ্প্রাণ আফিফ, লিটন, নাঈম, মিরাজরা। অধিনায়ক হিসেবে সম্ভাব্য সব জিততে চাওয়া তামিম সতীর্থদের কাঠগড়ায় না তুলে পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
তামিম জানান, ‘সিনিয়রদের ওপর ভরসা করাটা দুশ্চিন্তার। কিন্তু আমি সবসময়ই তরুণদের ওপর ভরসা রাখি। আমি তাদের দিকে আঙুল তুলি না কারণ, আমি জানি তারা কতটা পরিশ্রম করে। তারা পারফর্ম করলে আমরা দল হিসেবে আরও ভালো হবে কিন্তু এটা সমালোচনা করা সব সময়ই সহজ। আমি এমন কেউ নই যে নিজেদের খেলোয়াড়দের সমালোচনা করবে।
প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা দলনে মূল্যায়ন করতে গিয়েও আক্ষেপ ঝড়ল তামিমের কণ্ঠে, ‘ওরা আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে এ ম্যাচে এসেছিল এবং আমরা তাদের সেটি করতে সাহায্য করেছি। আমরা বেশি শর্ট বল করেছি। আমরা আমাদের সুযোগগুলো নেইনি, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি ক্যাচ ফেলেছি এবং আমাদের হয়তো ৩০ রান কম তাড়া করতে হতো।’