মহামারি মোকাবিলায় এই অঞ্চলের সরকারগুলোকে আমেরিকার পক্ষ থেকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ৭০ লাখ ডোজ কোভিড টিকা সরবরাহ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
জো বাইডেন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক টিকা বণ্টনের যে পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন, সে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র তাদের হাতে থাকা অব্যবহৃত মোট আড়াই কোটি ডোজ কোভিড টিকা নানা মাধ্যমে বিশ্বের অসংখ্য দেশে পাঠাবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এসব টিকার মধ্যে ৭৫ শতাংশ দেওয়া হবে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য টিকা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ উদ্যোগে গঠিত বৈশ্বিক টিকার জোট ‘কোভ্যাক্স’কে। বাকি ২৫ শতাংশ টিকা পাবে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ও অংশীদাররা।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম চালানের আড়াই কোটি ডোজ টিকার ৭০ লাখ যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার। এই অঞ্চলের পাঁচ দেশ বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, আফগানিস্তান ও ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রথম দফার এই টিকার চালানে অগ্রাধিকার পাবে।
হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, আড়াই কোটি ডোজ টিকার মধ্যে ‘কোভ্যাক্স’ পাবে এক কোটি ৯০ লাখ ডোজ। এর মধ্যে আনুমানিক ৬০ লাখ ডোজ পাবে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল। এছাড়া ৭০ লাখ পাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ৫০ লাখ ডোজ পাবে আফ্রিকার দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্র বাকি ৬০ লাখ ডোজ টিকা প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডা, ঘনিষ্ট মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা, ইরাক, ইয়েমেন, জর্ডান, মিসর, ইউক্রেন, কসোভো, হাইতি ও জর্জিয়া ছাড়াও করোনা মোকাবিলায় জাতিসংঘের সম্মুখসারির কর্মীদের মধ্যে সরবরাহ করবে।
চলতি জুনের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মোট আট কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে প্রথম চালানে আড়াই কোটি সরবরাহের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানানো হয়েছে। প্রথম চালানে জনজন অ্যান্ড জনসন, মডার্না ও ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকা থাকবে।
গতকাল বিশ্বজুড়ে টিকা বন্টনের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘সুবিধা পেতে কিংবা কোনো ধরনের ছাড় পাওয়ার জন্য নয়, মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য এবং মহামারির অবসান ঘটানোর ক্ষেত্রে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে আমরা এই টিকা সরবরাহ করছি।’