প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সার এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম আদালত পুলিশের পরিদর্শক বিজন কুমার বড়ুয়া জানান, তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জানা গেছে, গত ৩ অক্টোবর হাটহাজারী থানা পুলিশের পরিদর্শক শামীম শেখ চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চবি সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
এ আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আসামি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ‘হাসি না’ লিখে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কোন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র হলের ডাইনিং ও শোবার একটি কক্ষের ছবির উপর এডিট করে ডালের বাটি বসিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবির ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে তিনি লিখেন, ‘‘অত:পর তোমরা আম্মাজানের কোন কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করতে পারো।’’ যার স্ক্রিনশট ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আসামির এ কাজটি জঘন্য প্রকৃতির অপরাধ। তদন্তের স্বার্থে আসামিকে রিমান্ডে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।
রিমান্ডে আনার চারটি কারণ হিসেবে ওই আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা শামীম শেখ উল্লেখ করেন, আসামি কোন অপরাধ চক্রের সাথে জড়িত কিনা, কেন কি উদ্দেশ্যে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, আসামি যে মোবাইল ফোন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সে মোবাইলের ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথি সংগ্রহ এবং ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পাঁচদিনের রিমান্ড প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৩ জুলাই চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইফতেখার উদ্দীন আয়াজ। এ মামলায় মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগ তোলা হয়। উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন মাইদুল ইসলাম। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
জয়নিউজ/আল্পনা