চিলির কাছে আবারো পরাস্ত আর্জেন্টিনা। মেসির গোলের পরও ১-১ এ ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো আলবেসিলেস্তাদের।
রিও ডি জেনেরিওতে আক্রমণাত্মক ফর্মেশনে আর্জেন্টিনা। স্ক্যালোনির কৌশলে মাঝ মাঠ ভারি আলবেসিলেস্তাদের। আর ফরোয়ার্ড লাইনে মেসির সঙ্গী দুজন। অন্যদিকে স্টেরিওটাইপ ফর্মেশনে চিলি। আক্রমণভাগে ভার্গেসের সতীর্থ প্যালাসিও।
কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই কি যেন এক অজানা ভয়ে কাবু আকাশী-নীল শিবির। আক্রমণের চেয়েও ঠেকাতেই ব্যস্ত তারা। ৮ মিনিটে প্রথম পায়ে বল পান ক্ষুদে জাদুকর। কিন্তু সেটা উড়ে যায় টার্গেটের অনেক দূর দিয়ে।
১২ মিনিটে লওতারো মার্টিনেজকে বল বাড়িয়ে দেন মেসি। কিন্তু রেড ক্যাসেলের তালা ভাঙতে পারেননি তিনি। ব্যর্থ মনোরথে ফিরতে হয় প্রতিপক্ষের বক্স থেকে। পাল্টা অ্যাটাকে এগিয়ে গিয়েছিলেন প্যালাসিও। কিন্তু ওতামেন্ডি ছিলেন সতর্ক প্রহরায়।
আর্জেন্টিনা সুযোগ পেয়েছিলো আরও। কিন্তু গনজালেজ ছিলেন না ছন্দে। একবার পোস্ট উঁচিয়ে হেডের পর, আরেকবার মারেন ব্রাভোর গায়ে।
তবে ৩৩ মিনিটে আলবেসিলেস্তাদের ত্রাতা হয়ে আসেন তাদের অধিনায়ক। বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ফ্রি কিকটা ওয়ালে লেগেও ঠিক বোকা বানিয়ে দেয় ক্লদিও ব্রাভোকে। উল্লাসে ফেটে পড়েন লিওনেল মেসি। দর্শকহীন নিল্টন সান্তোসেও উঠে আনন্দের জোয়ার।
১-০ তে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ্ব শেষ করে আকাশী-নীল শিবির।
ফিরে এসে আবারো আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে শুরু হয় ম্যাচ। ৫০ মিনিটে চিলিয়ান ডিফেন্সে আটকা পড়েন মেসি। পরের মুহূর্তেই একই ভাগ্য বরণ করেন আরতুরো ভিদাল। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি পেয়ে যায় লা রোজারা। সেখানে মঞ্চায়ন আরেক নাটকের। ভিদালের শট আটকে দেন মার্টিনেজ, কিন্তু হেড করে দ্বিতীয় চেষ্টায় দলকে সমতায় ফেরান ভার্গেস
৮০ মিনিটে নিজের পায়ের জাদু দেখান মেসি। ইনজুরি টাইমে আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিলো আর্জেন্টাইনদের সামনে, কিন্তু চিলির ডিফেন্স অভেদ্য।
শেষ পর্যন্ত আরও একবার লাল দুর্গের দুয়ার ভাঙতে ব্যর্থ আর্জেন্টিনা।
জয়নিউজ/পিডি