দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ৫৩ হাজার ৩৪০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে দুই শতাংশ জমি ও সেমিপাকা ঘর করে পাচ্ছেন। আগামী ২০ জুন এসব জমি ও ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এ প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান। ইতোমধ্যে এ বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহ ও ব্যারাকে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ গৃহ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
সে ধারাবাহিকতায় আগামী ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আরও এক লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন, সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এই গৃহপ্রদান কার্যক্রম। আশ্রয়ণ প্রকল্প একটি নজিরবিহীন ও অসাধারণ কার্যক্রম।
কায়কাউস বলেন, দেশব্যাপী বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমিও উদ্ধার করা হচ্ছে এবং সেসব জমিতে অসহায় মানুষ থাকতে পারছে। বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী অসহায় মানুষের গৃহদান করে চলেছেন। যা একটি স্বপ্নযাত্রার উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে এই দুই শতাংশ জমির ওপর তারা নতুন করেও বাড়ি তৈরি করতে পারবেন। এটি তো আর চিরস্থায়ী না। এসব জমি তাদের নামে নামজারি করে দেওয়া হচ্ছে। তারা চাইলেই এসব জমি বিক্রি করা সম্ভব হবে না। কেউ বিক্রি করতে চাইলে সেসব দলিল ট্র্যাক করতে পারবে ভূমি মন্ত্রণালয় তথা সরকার।
আর আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে যারা দুর্নীতি বা অনিয়ম করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন ও আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর পরিচালক মাহবুব হোসেন।
জয়নিউজ/পিডি