বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৩২ কোটি লোক হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব হতে হেপাটাইটিস নিরমূলে স্বাস্থ্য সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
রোববার (২৭ জুন) সকালে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় ‘লিভার কেয়ার গ্রুপের সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি জানান. দু:খজনক হলেও সত্যি যে প্রায় ৩০ কোটি অর্থাৎ আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই নিজের শরীরে এই রোগের উপস্থিতি সম্পর্কে জানেন না। সারাবিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৩ লাখ লোক হেপাটাইটিসে মারা যান । লিভার ক্যান্সারে মারা যাওয়া প্রতি ৩ জনের ২ জনই হেপাটাইটিস ‘বি’ বা ‘সি’তে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আমাদের দেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস ‘বি’ও ‘সি’তে আক্রান্ত । তাদের কারো কারো বিভিন্ন সময়ে ক্যানসারসহ লিভারের অন্যান্য জটিল রোগ হচ্ছে। এ দেশের প্রায় ৩.৫% গর্ভবতী মায়েরা হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত। এই ভাইরাস তাদের নবজাতকের শরীরে সংক্রামিত হতে পারে।
এছাড়া বাংলাদেশের শতকরা ১ ভাগ লোক হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের বাহক। যাদের অধিকাংশই জানেন না তারা এই রোগে ভুগছেন।
তিনি বলেন, হেপাটাইটিস-বি ও সি ভাইরাসজনিত ‘ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদী’হেপাটাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগেরই কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে না। কারো কারো ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো হলো: অবসাদ, ক্ষুধামন্দা, জ্বরজ্বর ভাব, শরীর শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
সভায় চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্য্যালয়ের উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম লিভার কেয়ার গ্রুপকে ধন্যবাদ দিয়ে সরকারের পাশাপাশি আরও অন্যান্য সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে হেপাটাইটিস সচেতনতায় অবদান রাখার আহ্বান জানান
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক ডা. তারেক শামশ, সমাজকল্যান সম্পাদক তানভির শাহরিয়ার রিমন, দপ্তর সম্পাদক ডা. দীলিপ চৌধুরী ও কোষাধক্ষ ডা. নাদিম আহমেদ।
পরে লিভার কেয়ার গ্রুপের’র উদ্যোগে সমাজের অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গের ৬০ জনকে হেপাটাইটিস বিনামুল্যে হেপাটাইটিস বি ও সি শনাক্তকরন পরীক্ষা এবং হেপাটাইটিস বি-এর টিকা প্রদান করা হয়।
স্বাস্থ্য সচেতনতামুলক এই সভায় কারিগরি সহায়তা প্রদান করে এপিক হেলথ কেয়ার এবং বিনামুল্যে টীকাদান কর্মসুচিতে সহায়তা করে বীকন ফার্মাসিউটিক্যাল লি.।
জয়নিউজ/পিডি