চোখে কাজল ব্যবহার করায় গৃহকর্মীকে টানা পাঁচদিন বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন করেছে নাহিদা আক্তার রেনু (৩৪) নামের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে নগরের চান্দগাঁও আবাসিকের বি-ব্লকের ১০ নম্বর রোডের একটি বাসায় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার নাহিদা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালে কর্মরত আছেন। এক বছর আগে থেকে ডা. নাহিদার বাসায় কাজ করেন ১৫ বছর বয়সী তসলিমা আক্তার। বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতন করত ডা. নাহিদা। গত ১৮ জুলাই তসলিমা তার চোখে ডা. নাহিদার কাজল ব্যবহার করে। বাসায় ফিরে নাহিদা তা দেখতে পেয়ে কিশোরী তসলিমার ওপর টানা পাঁচ দিন আটকে রেখে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে একটি সেলুনে গিয়ে তার মাথার চুলও ফেলে দেওয়া হয়।
এদিকে, নির্যাতনের শিকার তসলিমা আক্তারেরর (১৫) বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম আবদুল গণি।
গতকাল বৃহস্পতিবার তসলিমার বাবা তার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসে। কিন্তু ডা. নাহিদা তাকে দেখতে দেয়নি। এরই মধ্যে জানালার ফাঁকে মেয়েকে আটকে রাখতে দেখে তার বাবা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চান্দগাঁও থানায় এসে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া জানান, অভিযোগ পেয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জয়নিউজ/হিমেল/পিডি