করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ আগস্টের পর আরও অন্তত ১০ দিন বিধিনিষেধ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর যে সুপারিশ করেছে তা মাথায় আছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে তিনি এ কথা জানান।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করার তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কীভাবে এই সংক্রমণ সামাল দেব? রোগীদের কোথায় জায়গা দেব? সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব? অবস্থা খুবই খারাপ হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এসব বিবেচনাতেই আমরা বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেটি (সুপারিশ) অবশ্যই আমাদের মাথায় আছে। কারণ সবকিছুর সমন্বয় আমাদের করতে হবে। সেজন্য আমরা বলছি যে, একটু সময় নেব। ৩ বা ৪ তারিখে এ বিষয়টি পরিষ্কার করে দেব।’
তিনি বলেন, ‘রফতানিমুখী যে শিল্প কল-কারখানাগুলো আছে, সেগুলো আগামীকাল (১ আগস্ট) থেকে খুলে দেওয়া হবে এবং শুধুমাত্র যারা ঢাকাতে আছে, কারখানার আশেপাশে যারা রয়ে গেছে, তাদেরকে নিয়ে তারা কাজগুলো করবে ৫ তারিখ পর্যন্ত। আমরা এর ভেতরে সিদ্ধান্ত নেব, ৫ তারিখের পর কী হবে।’
৫ তারিখের পর কী হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী হবে, সেটির এখনো সিদ্ধান্ত পাইনি। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত জানাবেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
কিন্তু কারখানার শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন- বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘গতকালকে আমরা বিষয়টি ক্লিয়ার করেছি। মিটিংয়ে মালিকরা কথা দিয়েছেন, যারা শুধু ঢাকায় আছেন তাদেরকে নিয়েই এ কর্মকাণ্ড শুরু করবে, কেউ চাকরি হারাবে না।’
৫ তারিখের পর পর্যায়ক্রমে তাদেরকে নিয়ে আসবে, একেবারে না। এক্ষেত্রে কিন্তু ছাঁটাইয়ের কোনো আশঙ্কা নেই। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানও সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন এটি। তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কাউকে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ এখানে ছাঁটাই হবে না। ৫ তারিখের পর ধীরে-ধীরে তারা কীভাবে আসবে, আমরা জানাব, বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
৫ তারিখের পর বিধিনিষেধ থাকছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটি আসলে কী হবে, এখন তা চূড়ান্তভাবে বলতে পারছি না। সেটি আমাদের বলাও উচিত হবে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিভিন্ন প্রস্তাব আছে, সেগুলো বিবেচনা করে কীভাবে করলে এ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সেটি আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের কাজকর্মগুলো, যেগুলো একেবারেই অপরিহার্য, সেগুলো চালানো। সেটি কী করলে ভালো হবে, সেজন্য আরেকটু সময় আমাদের লাগবে।’
শ্রমিকদের ধাপে-ধাপে নিয়ে আসা হবে। সেক্ষেত্রে গণপরিবহন চালু হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কী হবে, সেটি নিয়ে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা নেই।’