দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার এখনো ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। তবে জীবন-জীবিকার স্বার্থে কিছুক্ষেত্রে শিথিলতাও থাকতে পারে।
রোববার (১ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনায় মৃত্যুর হার এখনো দুইশর বেশি। এ অবস্থায় বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে করোনার যে পরিস্থিতি, তা বিবেচনা করে বিধিনিষেধ বাড়ানো হতে পারে। তবে জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে কিছুক্ষেত্রে শিথিলতাও থাকতে পারে।’
কতদিন বাড়তে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী দুই বা তিন দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সংক্রমণ ঠেকাতে অন্তত ১০ দিন বিধিনিষেধ বাড়ানোর জন্য গত ৩০ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সুপারিশ করা হয়। এদিন অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কীভাবে এই সংক্রমণ সামাল দেব? রোগীদের কোথায় জায়গা দেব?
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ সুপারিশ নিয়ে পর্যালোচনা করছে সরকার। আগামী ৩ অথবা ৪ আগস্ট এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সেটি (সুপারিশ) অবশ্যই আমাদের মাথায় আছে। কারণ সবকিছুর সমন্বয় আমাদের করতে হবে। সেজন্য আমরা বলছি যে, একটু সময় নেব। ৩ বা ৪ তারিখে এ বিষয়টি পরিষ্কার করে দেব।’
৫ তারিখের পর কী হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী হবে, সেটির এখনো সিদ্ধান্ত পাইনি। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত জানাবেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
দেশে করোনার সর্বশেষ
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ হাজার ৯১৬ জনে। এ সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৮ জনে।