চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় আগামী ৭ আগষ্ট থেকে ১২ আগষ্ট পর্যন্ত ‘ওয়ার্ড ভিত্তিক কোভিড-১৯ (মডার্না) টিকাদান কার্যক্রম’ পরিচালিত হবে। প্রতি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে।
সর্বনিম্ন ২শ’ জন একটি টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা পাবেন, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারিভাবে ১ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতি ওয়ার্ডে অতিরিক্ত আরো ২ জন করে সেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিটি কেন্দ্রে নিয়োজিত করা হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন প্রতি কেন্দ্রে চারশ’ জন করে মোট ১২শ’ জন টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
কারা পাবেন টিকা—
১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে যাদের এনআইডি কার্ড আছে তারা এবং যাদের বয়স ১৮(+) কিন্তু এনআইডি নেই, তারাও টিকা নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে। তবে এনআইডি ছাড়া যারা টিকা নিবেন তারা সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন না।
সুরক্ষা এ্যাপে যারা আগে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন তাদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যে কেন্দ্রের জন্যেই নিবন্ধন করেন না কেন, রেজিষ্ট্রেশনকৃত ব্যক্তি এখানে তার প্রথম ডোজ টিকা নিতে পারবেন, তবে কেউ অন্য জায়গায় প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে থাকলে তাকে সেই জায়গা থেকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে।
পূর্বে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে এখনো এসএমএস না পাওয়ায় টিকা না দিয়ে থাকলে তারা কার্ড প্রদর্শন করে টিকা দিতে পারবেন। সুরক্ষা অ্যাপে রেজিষ্ট্রেশন না করে থাকলেও আপনি টিকা দিতে পারবেন, এক্ষেত্রে আপনাকে এনআইডি কার্ড ও মোবাইল নম্বর নিয়ে আসতে হবে, অফলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করে আপনাকে টিকা দেওয়া হবে, সেক্ষেত্রে আপনার টিকা সনদ প্রাপ্তি কিছুটা বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী মায়েদের টিকা প্রদানের কোন নির্দেশনা নেই। সেহেতু টিকাদান কেন্দ্রে গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী মায়েরা টিকা কেন্দ্রে আসা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
একই কেন্দ্রে পরবর্তী তারিখে যারা এখানে টিকা নিবেন তারা দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারবেন তবে প্রথম ৬ দিনে কেউ দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে এখান থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন না।
প্রতিটি কেন্দ্রে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে সদ্য গঠিত আরবান কমিউনিটি ভলান্টিয়ারের প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিম শৃঙ্খলা রক্ষা ও সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকবেন।