সাকিব আল হাসান এমনিতে খুব একটা ইনজুরি প্রবণ নন। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজে আঙুলে পাওয়া চোটের রেশ যেনো কাটছেই না সাকিবের। ইনজুরি সঙ্গে করেই খেলেছেন উইন্ডিজ সফর ও এশিয়া কাপে। পরে অবস্থা বেগতিক হওয়াতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দেশে ফেরেন তিনি। সাকিবের ইনজুরিতে বিসিবির ভূমিকা নিয়ে কথা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। তবে আজ নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সাকিবের ইনজুরি প্রসঙ্গে বিসিবি বস বলেন, ‘যখন পাকিস্তানের সাথে খেলার আগের দিন আমি চলে আসি। হোটেলে যেয়ে দেখি সাকিব আর কয়েকজন বসা। আমি ওখানে ওর হাতটা দেখে অবাক হলাম। হাতটা অনেক ফোলা, আগে ওরকম ফোলা আমি দেখিনি ওর হাত। সাকিব আমাকে বললো হাতের এই অবস্থায় তো আমি খেলতে পারবো না। পাশ থেকে সবাই বলছিল না, এমন ক্রুশাল ম্যাচে খেলাটা খুব জরুরি। ন্যাচারালি, এটা সবাই বলে।’
‘আমি তখন বললাম, তুমি এক্ষুণি যাও, এখান থেকে কোথায় যাবা বলো? বললো অ্যামেরিকা যাবো। আমি বললাম যাও, ফ্যামিলি কোথায় যাবে? ও বললো ঢাকা যাবে। আমি বললাম হ্যা, ঢাকায় পাঠায়ে দাও। খেলাধুলা বাদ, তোমার হাত এতো ফুললো কেনো। ওখানে ওর (সাকিব) সাথে এটা আমার লাস্ট কমিউনিকেশন।’
নাজমুল হাসান পাপনের ভাষ্যমতে, সাকিবকে এশিয়া কাপ শেষের আগেই ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত এসেছিল তার কাছ থেকেই। পরে দেশে ফিরে আসা সাকিবের নিয়মিত খোঁজ নিয়েছেন তিনি। হাসপাতালে দেখা করতে গেছেন, ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে দিয়েছেন ওষুধ পরিবর্তন করার পরামর্শও। সাকিব ভয় পেলে সাহস যোগানোর কাজও করেছেন তিনি।
পাপন আরো বলেন, ‘পরদিন শুনলাম ও অ্যাপোলো হসপিটালে। আমি কিন্তু জানি ও অ্যামেরিকায়। আমাকে ও সেটাই বলেছিল। নিশ্চয়ই কোন কারণ ছিল। আমি ওকে ব্লেইম করছিনা। শুধু কাহিনীটা আপনাদের বলছি। আমি পরে ওখানকার ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বললাম। জানতে পারলাম ওরা আঙুল থেকে পুঁজ বের করবে, ও ভয় পাচ্ছে। আমি ওকে বললাম, দেখো ওরা কিছু করবে না। কিন্তু পুঁজ থাকাটা কিন্তু খুব রিস্কি। এক্ষুণি বের করে ফেলো, কিচ্ছু হবেনা। তো করলো, আমি পরে কথা বললাম ও বললো ভালো আছে।’
‘আমি পরে ওর সাথে দেখা করতে হসপিটালে গেলাম, ওর ওষুধ কি দিচ্ছে দেখলাম। ততক্ষণে ওর কি ইনফেকশন আছে তা ধরা পড়েছে। ওটি থেকে ডাক্তার আমার সঙ্গে কথা বলল, কোন ওষুধ বাদ দিয়ে কোন ওষুধ দেওয়া হবে তা বললো। আমি সাজেস্ট করলাম এই ওষুধ দেওয়া হোক। যেহেতু এই লাইনে দীর্ঘদিন ধরে আছি।’
জয়নিউজ/শহীদ