পিএসজি মেসিকে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পর মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে আর্জেন্টাইন তারকার সব জার্সি বিক্রি হয়ে গেছে।
সংবাদকর্মী জোনাস আদনান গিয়াভেরের সূত্র মারফত তথ্যটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ‘ফুটবল এসপানা’। বাংলাদেশ সময় গতকাল রাতেই মেসির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছে পিএসজি। এরপর তাঁকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা দেয় পিএসজি।
গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ১৫ মিনিট নাগাদ ‘প্যারিসে এক টুকরা হীরা’ নামে মেসিকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভিডিও পোস্ট করে ফরাসি ক্লাবটি। সংবাদকর্মী জোনাস জানিয়েছেন, (বাংলাদেশ সময়) রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে পিএসজির অফিশিয়াল অনলাইন স্টোরে মেসির সব জার্সি বিক্রি হয়ে যায়।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মেসির জার্সি বেশ চড়া দামেই বিক্রি করছে পিএসজি। গোটা স্কোয়াডের মধ্যে মেসির জার্সির দামই সবচেয়ে বেশি—১৫৭.৯৯ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ১৫ হাজার ৭২০ টাকা।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, মেসির পর জার্সির দামের দিক থেকে সমান অবস্থানে রয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমার, আনহেল দি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেস। তাঁদের জার্সির দাম ১০৭.৯৯ ইউরো করে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার ৭৪৫ টাকা)।
তবে নিজেদের অফিশিয়াল অনলাইন স্টোরে মেসির তিনটি সংস্করণের জার্সি বিক্রি করছে পিএসজি। মেসি যে জার্সি পরবেন, তেমন সংস্করণগুলোর দাম ১৫৭.৯৯ ইউরো করে। ‘স্টেডিয়াম সংস্করণ’–এর জার্সির (হোম) দাম আরেকটু কম— ১০৮.৩৮ ইউরো।
স্টেডিয়াম সংস্করণে মেসির অ্যাওয়ে জার্সির দাম আরও কম— ৮৮.৭৬ ইউরো। তবে এসব জার্সি পিএসজি এখনো আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাত করা শুরু করেনি। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সতর্কতা হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত। এমনকি নাইকির অফিশিয়াল অনলাইন স্টোরেও মেসির জার্সি ছাড়া হয়নি।
বার্সেলোনায় ১০ নম্বর জার্সি পরে খেললেও পিএসজিতে ৩০ নম্বর জার্সি পরবেন মেসি। আরএমসি স্পোর্টস এর আগে জানিয়েছিল, মেসিকে পিএসজিতে আসতে প্ররোচিত করতে নেইমার নাকি তাঁকে ১০ নম্বর জার্সি সেধেছিলেন। মেসি রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এই জার্সি নেইমারেরই থাকছে।
বার্সায় শুরুতে এই ৩০ নম্বর জার্সি পরেই খেলেছেন মেসি। ২০০৫ সালের ১ মে, বার্সার হয়ে প্রথম গোলটি তিনি ৩০ নম্বর জার্সিতেই করেছিলেন রোনালদিনিওর পাস থেকে।