সারাদেশে গত দুই সপ্তাহে দৈনিক শনাক্তের চেয়ে দৈনিক সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। এই দুই সপ্তাহের মোট হিসাবে মিলছে সেই চিত্র। এদিকে আগামী দুই সপ্তাহ পর আবারও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব এলাকায় এত দিন বাইরে থেকে যাতায়াত কম ছিল সেখানে স্বাভাবিকভাবেই বাইরে থেকে সংক্রমণ ঢুকতে পারেনি। আর যারা ভেতরে আক্রান্ত ছিলেন তাদের বড় একটা অংশ সুস্থ হয়ে সংক্রমণমুক্ত হয়েছে ওই এলাকার মধ্যে থেকেই। এ কারণেই বিভিন্ন এলাকায় আমরা শনাক্ত কমে যাওয়ার চিত্র পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা যা হিসাব পাই তাতে দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দিনে প্রায় এক কোটি মানুষের চলাচল থাকে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়। এখন বিধি-নিষেধ না থাকায় সেই চলাচলের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে যাঁরা এখনো আক্রান্ত হয়েও জেনে কিংবা না জেনে চলাফেরা করবেন, তাঁদের মাধ্যমে আবার এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় সংক্রমণ ছড়াবে। ফলে শনাক্তের নিম্নমুখী গতি আর বেশি নিচে নামার সুযোগ পাবে না। বরং মাঝপথ থেকেই আবার ওপরে উঠতে থাকবে বা মাঝামাঝি জায়গায় গিয়ে স্থবির হয়ে আবারও ঝুঁকি ছড়াবে।
এই বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, এটা ঠিক যে আজীবন লকডাউন চালানো যাবে না। কিন্তু আমরা তো পর্যাপ্ত টিকাও দিতে পারছি না। আবার একদিক থেকে টিকা দিতে দিতে আরেক দিকে টিকার কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাবে। ফলে এক ধরনের সমস্যা থেকেই যাবে। এটা থেকে রক্ষায় টিকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। টিকা দিয়েও মাস্ক পরতে হবে। কারণ টিকা নেওয়ার পরও তো আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী টিকা দেওয়ার পরও অন্যদের তুলনায় ঝুঁকিতে থাকবেই। আর এই ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যেই সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সের মানুষ।
জয়নিউজ/পিডি