রাঙ্গুনিয়ায় এক ওড়নায় ঝুলে আত্মহত্যা করেছে স্বামী ও স্ত্রী। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কুরমাইকুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ওই এলাকার শাহ আলমের ছেলে মো. ইসকান্দর (২৪) ও তার স্ত্রী রুমা আক্তার (২২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ওসি মাহাবুব মিল্কি।
নিহত ইসকান্দরের মা ফিরোজা বেগম জানান, আমার ছেলে মাত্র তিনদিন আগে (গত ১০ আগস্ট) কাতার থেকে দেশে ফিরেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আমি আমার নাতিকে নিয়ে উঠানে খেলছিলাম। পরে ঘরে এসে তাদের রুম বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করি। কিন্তু তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা খুলে দেখি তারা দু’জনেই ফাঁসিতে ঝুলে আছে। পরে এলাকার মানুষজন ডেকে দরজা ভেঙে তাদের ফাঁসি থেকে নামাই।
নিহত গৃহবধূর বাবা জামাল উদ্দিন জানান, দুপুর ৩টার দিকেও আমার মেয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছিল। মেয়েকে বেড়াতে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা আশুরার পরে আসবে বলে জানায়। এরপর রাত হতেই শুনি এই ঘটনা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে প্রায়ই তার দেবর আরিফ (২০) নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিতো। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে সতর্ক করা হয়েছে। আমার ধারণা তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাদের নিজেদের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে আমাকে তো দুপুরে কথা বলার সময় বলতো।
জানা গেছে, গত দুই বছর আগে ইসকান্দরের সঙ্গে রুমা আক্তারের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৫ মাস বয়সী এক ছেলে সন্তানও রয়েছে। ইসকান্দর কাতার প্রবাসী ছিল। গত ১০ আগস্ট সে দেশে ফিরেছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম জানায়, কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। আমরা এসে তাদের মুখে শুনেছি, দু’জনেই এক ওড়নায় একই কক্ষে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
‘শ্বাশুড়ি এলাকাবাসীকে নিয়ে দরজা ভেঙে তাদের লাশ নামিয়েছে। আমরা ঘটনা তদন্ত করে দেখছি। তবে দু’জনে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।’