নতুন নেতৃত্বের অধীনে আবারো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন তালেবান।
আড়াই দশক আগে মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিয়েছিল তালেবান। কিন্তু সেই ক্ষমতা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বিদেশি সেনাদের আক্রমণে পাঁচ বছরের মধ্যে ক্ষমতা হারাতে হয় তাদের।
সোমবার (১৬ আগস্ট) আফগানিস্তানে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে তালেবান। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির দেশত্যাগ ও রাজধানী কাবুল অধিকার করে নেওয়ার পর এ ঘোষণার কথা জানান তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম।
রয়টার্স জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন কোনো সরকার নয়, দেশটির পুরো ক্ষমতা বুঝে নেবে তালেবান। ফলে যে কোনো সময় গঠিত হতে যাচ্ছে নতুন সরকার। তবে কে আসছেন আফগানিস্তানের নেতৃত্বে? তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, তালেবানের সিনিয়র নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার আফগানিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। তালেবানের এই নেতা রোববার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় আশরাফ গনি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিবিদদের সঙ্গে সমঝোতা করতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হাজির হন।
যদিও হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তালেবানের শীর্ষ নেতা। ২০১৬ সালে তৎকালীন নেতা মোল্লা মানসুর আখতার যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর নেতৃত্বে আসেন আখুন্দজাদা। আনুমানিক ৬০ বছর বয়স তার। মোল্লা ওমরের মতো তার সম্পর্কেও খুব বেশি কিছু জানা যায়নি।
আরও আলোচনায় আছেন সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ের ‘মুজাহিদ’ নেতা জালালুদ্দিন হাক্কানীর ছেলে হলেন সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। তিনি একই সঙ্গে তালেবানের উপপ্রধান, আবার হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান। আফগানিস্তানে সোভিয়েত অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্রই এই হাক্কানি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল এবং সোভিয়েত বাহিনীর উপর দুর্ধর্ষ নানা হামলায় জড়িয়ে আছে এই উপদলের নাম।
মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব বর্তমানে তালেবানের উপপ্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী ইয়াকুব ওই বাহিনীর সামরিক শাখার প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন। দুই দশক আগে তালেবানের সরকারের উপমন্ত্রী ছিলেন শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই। তিনি গত এক দশক ধরে কাতারের দোহায় থাকছেন। সেখানে তালেবানের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন।
আলোচনায় আছে আব্দুল হাকিম হাক্কানির নামও। দলের ধর্মীয় কাউন্সিলের প্রধান তিনি। বলা হয়, নিজের বাহিনীতে আখুন্দজাদা যাকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করেন, তিনি হলেন হাকিম হাক্কানি।
জয়নিউজ/পিডি