কোনো অপশক্তি ভারত-বাংলাদেশের শাশ্বত বন্ধনকে ছিন্ন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে নগরের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ‘ভারতবর্ষের আধুনিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস সবকিছুতেই এই উপমহাদেশের সকল মানুষ অবদান রেখেছিলেন। অবদান রেখেছিলেন, এই চট্টগ্রামেরই বীর স্বাধীনতাপ্রেমী মাস্টার দা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, যাত্রামোহন সেনগুপ্তসহ অনেকে। ভারত ও বাংলাদেশ ১৯৭১ সাল থেকে একসঙ্গে অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে।
দুই দেশের অর্থনীতি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকে আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদের কাছে প্রতিবেশি প্রথমে। প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে।’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা গর্বিত। বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জোড়ালো কূটনৈতিক প্রচারণা, স্বীকৃতি প্রদান এবং নানা দেশের সমর্থন আদায়ে ভারত কাজ করেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশীদের পাশাপাশি ভারতীয় সৈন্যরা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে।
ভারত বাংলাদেশের দুর্দিনে বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ভারতের স্বাধীনতাযুদ্ধে চট্টগ্রামের বীরসেনাদের অবদান কম নয়। মাস্টার দা সূর্যসেনরা বিট্রিশদের বিরুদ্ধে গিয়ে চট্টগ্রামকে চারদিনের জন্য স্বাধীন করেছিলেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশ ভারত বাংলাদেশের দুর্দিনে বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলব, ভারতবাসীর প্রতি আমাদের মমত্ববোধ রয়েছে। আমরা চাই আমাদের দুর্দিনের এ বন্ধু চিরজীবন বন্ধুত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবে।
রুনা ব্যানার্জীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরিণ আখতার। বক্তব্য রাখেন সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ জ্ঞানেশ ত্রিপাটি, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া চট্টগ্রামের সিইও সুব্রত বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের শুরুতে কবিতা আবৃত্তি করেন প্রমার রাশেদ হাসান।