অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ডের নকল ডোজ শনাক্ত হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) । ভারত ও আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে ডোজগুলো জব্দ করেছে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) এ বিষয়ে এক বিবৃতিকে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ভারত ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে কোভিশিল্ড টিকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নকল ডোজ উদ্ধার হয়েছে। এই টিকার প্রস্তুতকারী কম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে স্বীকার করেছে, উদ্ধারকৃত ডোজগুলো নকল বা ভুয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নকল ডোজ উদ্ধারের ঘটানায় উদ্বিগ্ন। কারণ, এসব কর্মকাণ্ডের ফলে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। মহামারি দীর্ঘায়িত হচ্ছে।’
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার থেকে এখন পর্যন্ত এ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা এড়াতে আগেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও এটি এড়ানো গেল না। নকল ডোজ কারা উৎপাদন করছে – খোঁজ পেতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং মোট কতসংখ্যক ভারতীয়কে নকল ডোজ দেওয়া হয়েছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কোভিশিল্ড হল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার তৈরি টিকার ভারতীয় তৈরি সংস্করণ এবং এটি ভারতে সর্বাধিক ব্যবহৃত টিকা যা এখন পর্যন্ত ৪৮৬ মিলিয়নেরও বেশি ডোজ ব্যবহৃত হয়েছে।
সিরাম এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে লাখ লাখ ডোজ কভিশিল্ড ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছিল – বিভিন্ন সরকার এবং দরিদ্র দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক কোভ্যাক্স স্কিমের চুক্তির অংশ হিসাবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী “ভ্যাকসিন কূটনীতির” অংশ হিসাবে প্রতিবেশী কিছু দেশকেও কোভিশিল্ড টিকার ডোজ পাঠিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি।
জয়নিউজ/পিডি