চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানির সময় কাঠগড়ায় বসে মুঠোফোনে কথা বলেছেন কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
সোমবার (২৩ আগস্ট) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলার সময় এই ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ঘুরছে (ভাইরাল) ছবিটি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আদালত কক্ষের কাটগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে মুঠোফোনে কথা বলছেন বরখাস্ত ওসি প্রদীপ। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুঠোফোনে একের পর এক কল করে কথা বলেছেন, সিনহা হত্যা মামলার এই আসামি। পরনে ছিল— কালো পোলো শার্ট।
খবর নিয়ে জানা গেছে, বরাখাস্ত ওসি প্রদীপকে মুঠোফোনটি সরবরাহ করেছিলেন সেখানেই দায়িত্বরত এক পুলিশ কনস্টেবল।
ছবিটির বিষয়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, মুঠোফোনে কথা বলার ছবিটি আজকের (মঙ্গলবারের) নয়। তবে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিনের (সোমবারের) হতে পারে। কে বা কারা এই ছবি তুলেছেন, তা–ও অজানা। মুঠোফোনে ওসি প্রদীপ কার সঙ্গে কথা বলেছেন, তা অনুসন্ধান করা জরুরি বলে মনে করেন এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপের নির্দেশে লিয়াকতের গুলিতে খুন হন সিনহা
বিচার বিভাগীয় বাতায়নের দেওয়া আদালতের আচরণবিধির কথা উল্লেখ করে পিপি ফরিদুল আলম বলেন, আদালত চলাকালে বিচারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া বাইরের লোকজনের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীরাও আদালতে ভেতরে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না। সেখানে মুঠোফোন বন্ধ রাখার নির্দেশনাও রয়েছে।
এদিকে আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দেখে বিরক্তি নিয়ে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, আমাকে নতুন করে চেনানোর দরকার নেই।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) মামলার সাক্ষগ্রহণের দ্বিতীয় দিন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর সিনহা নিহত হন পুলিশের গুলিতে। টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী।