তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাঙ্গুনিয়াতে নাকি জিয়াউর রহমানকে প্রথম কবর দেওয়া হয়েছিল। আমি নিজে রাঙ্গুনিয়ার মানুষ। কিন্তু সেদিন যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তাদের কেউ জিয়াউর রহমানকে কবর দিতে দেখেননি বলে জানিয়েছেন। তারা শুধু একটি বাক্স দেখেছিলেন। চন্দ্রিমা উদ্যানে মারামারি করে বিএনপি, খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানসহ সবাই জানে যে সেখানে জিয়ার কবর নেই, জিয়ার লাশ নেই।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও শহীদ পরিবারবর্গ এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদের স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক-মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐ দিন বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন—‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। আপোষ করলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন বঙ্গবন্ধু কিন্তু তিনি চেয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা তাই আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক।
বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল একটাই—বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে ধ্বংস করা, বিজয়কে নস্যাৎ করা।
ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, লোখাপড়া শেষ করে দেশ ও সামাজের সেবক বানাতে নিজেকে তৈরি করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর মতো বরাবরই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ও নৈতিক আন্দোলনে কাজ করুন। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নৈতিক স্খলনের অভিযোগ থাকলে সংগঠনের পদ থেকে তাদেরকে অপসারণ করুন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিম প্রমুখ।