দেশে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুহার কমে আসায় স্বস্তির কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন। তিনি বলেন, টানা দুই থেকে তিন সপ্তাহ শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে ‘স্ট্যাবল ট্রান্সমিশন’ বলা যাবে।
রোববার (২৯ আগস্ট) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও চিকিৎসা, টিকাদান কার্যক্রম, ডেঙ্গু ও অন্যান্য নানা বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এনসিডিসি পরিচালক বলেন, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি বা সংক্রমণে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি, এমন অবস্থা যদি টানা দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে রাখা যায়, তবেই বলা যাবে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে।
করোনার টিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে গতিতে আমরা টিকা দিচ্ছি, তাতে সবাইকে টিকার আওতায় আনতে নিঃসন্দেহে অনেক সময় লাগবে। নিজেরা টিকা উৎপাদন করলে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া জনগণের সংখ্যা মাত্র ৪ শতাংশ থাকত না।’
ডেঙ্গু রোগনির্ণয়ে দেশে পর্যাপ্ত এনএস-১ কিট রয়েছে উল্লেখ করে রোবেদ আমিন সারা দেশের সব হাসপাতালের প্রধানকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এলে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। জ্বর হলেই করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন তিনি। একইসঙ্গে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির নির্দেশিত ই–মেইলে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য প্রেরণেরও নির্দেশ দেন তিনি।