আফগানিস্তানের মানবিক বিপর্যয় সামলাতে প্রয়োজন অন্তত ৬০ কোটি ডলার। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সম্মেলনে এ কথা জানায় জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানান, আফগানিস্তান তালেবানের দখলে যাওয়ার আগে থেকেই দেশটির অর্ধেক জনসংখ্যা, অন্তত এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ বিশ্বের অর্থসাহায্যের ওপরে নির্ভরশীল ছিলেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এর অন্যতম কারণ হলো- খরা ও অর্থাভাব।
সম্মেলনে জানানো হয়, আফগানিস্তানে মানবিক সংকট এড়াতে ৬০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি মার্কি সহায়তা খুঁজছেন তারা। পুরো বিশ্বের কাছে তারা সাহায্যপ্রার্থী। জবাবে ভারত জানিয়েছে, তারা আগেও সাহায্য করেছে, এখনও করবে।
ভারতের পারাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের এই বৈঠক অত্যন্ত জরুরি ছিল। ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক সব সময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। এই ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব বজায় থাকবে। ডব্লিউএফপি’র অংশ হিসেবে বেশ কয়েক বছর ধরে আফগানিস্তানে প্রোটিন বিস্কুট পাঠায় ভারত। গত বছর ৭৫ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানো হয়েছিল। অন্তত ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে আফগানিস্তানে। অতীতের মতোই এখনও আফগানদের পাশে থাকতে চায় ভারত।
এদিকে, আফগানিস্তানে তালেবানদের শাসন মেনে নেয়নি বহু দেশ। ফলে যে মোটা অঙ্কের অর্থ সাহায্য আসত বিভিন্ন দেশ থেকে, তা বন্ধ হওয়ার মুখে। তাই আফগানিস্তানে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রকল্প বিপর্যস্ত।
জয়নিউজ/পিডি