চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনা প্রতিরোধী টিকার আরও ৫০ লাখ ডোজের একটি চালান দেশে পৌঁছেছে। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চালানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা গতকালের চালানের টিকাগুলো গ্রহণ করে কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এ নিয়ে সব মিলিয়ে সিনোফার্মের মোট প্রায় আড়াই কোটি পেলো বাংলাদেশ। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বরও (শুক্রবার) ৫৪ লাখ ডোজ টিকাসহ একটি বড় চালান দেশে আসে।
সিনোফার্মের ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনতে চুক্তি করেছে সরকার। এছাড়া কোভ্যাক্স সহায়তা থেকেও বাংলাদেশ সিনোফার্মের টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
চীন সরকারের উপহার হিসেবে ১২ মে ৫ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে। সিনোফার্মের টিকার ওটাই ছিল প্রথম চালান। পরে ১৩ জুন উপহার হিসেবে আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা আসে।
উপহারের এই ১১ লাখ ডোজ টিকা আসার পর জুলাই মাসে সিনোফার্মের টিকার আরও ছয়টি চালান আসে। এর মধ্যে ৩ জুলাই রাতে ১০ লাখ ডোজ, ৪ জুলাই সকালে ১০ লাখ ডোজ, ১৭ জুলাই রাত পৌনে ১২টায় ১০ লাখ ডোজ এবং ওইদিনই দিবাগত রাত ৩টায় আরেকটি ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ টিকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এরপর মাসের শেষদিকে ২৯ এবং ৩০ জুলাই আরো ৩০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। পরের মাসে ১০ আগস্ট ১৭ লাখ ডোজ, ১২ আগস্ট ১৭ লাখ ডোজ, ১৩ আগস্ট ১০ লাখ ডোজ এবং ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে।
চলতি মাসে গত ১০ সেপ্টেম্বর সিনোফার্মের টিকার প্রথম চালান দেশে আসে। ৫৪ লাখ টিকার ওই চালানই এখন পর্যন্ত দেশে সিনোফার্মের টিকার সবচেয়ে বড় চালান।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে সরকার। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়াও চীনের সিনোফার্ম, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্নার টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।