কক্সবাজারের ‘আমারী রিসোর্ট’ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় নারী পর্যটকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আসাীম সাগরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড টোলপ্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি মো. সাগর মিজিকে (২৪) গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইলসহ তিনটি মোবাইল হ্যান্ডসেট ও ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, সাগর গত ১৮ সেপ্টম্বর সকালে কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার ‘আমারী রিসোর্ট’ এর ১০৮ নম্বর রুম ভাড়া নেয়। ২০ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী ঢাকা থেকে আসবে বলে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানায় সে। স্ত্রী এলে তাকে একটি ডাবল রুম দেওয়ার কথা বলে সে। সে মোতাবেক ২০ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীর পরিচয়ে ওই নারী রিসোর্টে পৌঁছান। তারা ৪০৮ নম্বর রুমে ওঠেন।
২১ সেপ্টেম্বর সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে কক্ষের দরজা ভেঙে ওই নারীর মৃতদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সাগরের দেওয়া তথ্যমতে, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ভিকটিমকে স্ত্রী পরিচয়ে কক্সবাজারের ‘আমারী রিসোর্ট’-এ নিয়ে যায় সে। রিসোর্টে নিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সে। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে ভিকটিমের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এসময় সাগর ভিকটিমের গলা চেপে ধরে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে ভিকটিম মেঝেতে পড়ে যায়। সেসময় সাগর ভিকটিমের গলা চেপে ধরে পাশে থাকা গ্লাস দিয়ে কয়েকবার সজোরে মাথায় আঘাত করে। ভিকটিম মারা গেছে বুঝতে পেরে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
র্যাব জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সাগর একজন লম্পট প্রকৃতির ছেলে। সে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক নারীকে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করেছে। সে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঘুরতে নিয়ে কৌশলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করত।
গ্রেপ্তারকৃত সাগরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানায় র্যাব।