আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে অভিযুক্ত চার অপহরণকারীকে হত্যার পর তাদের মরদেহ জনসম্মুখে ঝুলিয়ে রেখে অন্যদের সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী তালেবান। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকারের একজন কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
হেরাতের ডেপুটি গভর্নর শের আহমদ আম্মার বলেছেন, অভিযুক্তরা স্থানীয় এক ব্যবসায়ী এবং তার ছেলেকে অপহরণ করেছিলেন। অপহরণের পর তাদের শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় হেরাতে তালেবানের তল্লাশি চৌকিতে ধরা পড়েন তারা।
এ সময় তালেবানের যোদ্ধাদের সঙ্গে গোলাগুলিতে চার অপহরণকারীর সবাই মারা যান। এতে তালেবানের এক সৈন্য আহত হন।
হেরাতের এই ডেপুটি গভর্নর বলেন, তাদের মরদেহ শহরের মূল চত্বরে আনা হয়েছিল এবং অন্যান্য অপহরণকারীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য তা জনসম্মুখে ঝুলিয়ে রাখা হয়। অপহরণের শিকার দু’জনকে অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হেরাতের বাসিন্দা মোহাম্মদ নাজির বলেন, শহরের মোস্তফিয়াত স্কয়ারের কাছে তিনি খাবার কিনছিলেন। এ সময় লাউডস্পিকারে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের ঘোষণা শুনতে পান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি এগিয়ে গিয়ে দেখলাম তারা একটি পিকআপ ট্রাকে করে লাশ নিয়ে এসেছে। তারপর তারা লাশ একটি ক্রেনে ঝুলিয়ে রাখে।’
রক্তমাখা ক্রেনে দোল খাওয়া লাশের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। এতে দেখা যায়, ক্রেনে ঝুলিয়ে রাখা একজনের বুকে ‘এটাই অপহরণের শাস্তি’ লেখা একটি বার্তা জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে অন্যান্য মরদেহ সেখানে দেখা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে বলা হচ্ছে, হেরাত শহরের অন্যান্য প্রান্তে বাকি লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন বার্তাসংস্থা এসোসিয়েট প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতা মোল্লা নুরুদ্দিন তুরাবি বলেন, অপরাধীদের সতর্ক করে দিতে তালেবানের সরকার আফগানিস্তানে অপরাধের শাস্তি হিসেবে অঙ্গহানি এবং শিরশ্ছেদের বিধান ফিরিয়ে আনবে।