সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর ইস্যুতে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা দুই-এক দিনের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক সামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
মফিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, শ্রমিকরা যেন দ্রুত ওই দেশে যেতে পারেন। তাদেরও রিকয়্যারমেন্ট আছে। দুবাই এক্সপো শুরু হয়েছে, ওদের প্রচুর লোক দরকার। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমাদের কাজটি দেরি হয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, আজ-কালকের মধ্যে সমাধান হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে কিছুদিন আগেই আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে স্যাম্পল কালেকশন বুথ চালু করা হয়েছে। আমিরাত থেকে অনুমোদন না আসায় জটিলতা বাড়ছে। ছয়টি ল্যাবের একটিকে আরব আমিরাত গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ চায়, সবকটি অনুমোদন দেওয়া হোক। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করছে। সবগুলো ল্যাবের অনুমোদন না দিলে, যাত্রী পাঠানো হবে না। তারা, যাচাই-বাছাই করছে, আনুষ্ঠানিকতা শেষে অনুমোদনের আশ্বাস মিলবে।’
আমিরাত সরকারের একটি শর্ত ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে সংস্থাগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্বাচিত করেছে, তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরটা (এসওপি) অবহিত করতে হবে। তারপর তারা অনুমোদন দেবে। এই তথ্যটা আরব আমিরাতে আমাদের রাষ্ট্রদূত পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছেন। আমরা দুই সপ্তাহ আগে চিঠি পাঠিয়েও দিয়েছি। আমরা পারসিউ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে গত পরশুদিন আমাদের ল্যাব স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের প্রথম অনুমোদন দেওয়া ল্যাবের মাধ্যমে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে কিছু যাত্রী পাঠিয়েছিলাম। গতকালও একটা ফ্লাইট গেছে। আজকেও তারা একটা ফ্লাইট পাঠাতে চেয়েছিল। আমি তাদের প্রেসার ক্রিয়েট করার জন্য এই ফ্লাইটটি ক্যান্সেল করেছি। বলেছি, আমাদের ছয়টির অনুমোদন না এলে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে আর কোনো যাত্রী পাঠাব না। প্রেসার ক্রিয়েট করছি, যাতে তারা দ্রুত অনুমোদন দিয়ে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে ওখানে একটি মিটিং হওয়ার কথা। আমাদের পাঠানো এসওপি তাদের ন্যাশনাল কমিটি ফর ক্রাইসিস অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অ্যাপ্রুভ করবে। ছয়টি এসওপি-ই তারা যাচাই-বাছাই করেছে। আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। এটা একটা ফর্মালিটি মাত্র। সেই ফর্মালিটি ত্বরান্বিত করার জন্য তাদের উপর চাপও প্রয়োগ করছি।’