নগরীর আলোচিত তাসফিয়া হত্যা ঘটনার তিন মাস পূর্ণ হলো। কিন্তু মৃত্যুটা এখনো রহস্যই রয়ে গেল।
শুরু থেকেই তদন্ত কর্মকর্তাদের বাহানার শেষ ছিলো না। প্রথমে ময়না তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষা। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পর লাশের ভিসেরা রিপোর্ট। এভাবে প্রতিনিয়তই বলা হয়েছে আগামী সপ্তাহে রহস্য উদঘাটিত হবে। অথবা সপ্তাহখানেকের মধ্যে সব জানা যাবে।
দুই মাসেও যখন পতেঙ্গা থানার সেই আগামী সপ্তাহ আসেনি, হয়নি হত্যা রহস্যের কোনো কূলকিনারা, তখন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মাহবুবুর রহমানের নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় গোয়েন্দা বিভাগ। দায়িত্ব পান পুলিশ পরিদর্শক স্বপন কুমার সরকার।
তদন্তভার গোয়েন্দা বিভাগে হস্তান্তরের পর অতিবাহিত হলো প্রায় এক মাস। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গাজীপুর সমাজসেবা অধিদফতরের কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে গিয়ে ইতোমধ্যে তাসফিয়ার বয়ফ্রেন্ড আদনান মির্জাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। রিমান্ডে এনে দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আদনানের বড়ভাই খ্যাত ফিরোজকেও।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ভিসেরা রিপোর্ট তৈরি হয় রাজধানীর মহাখালী ল্যাবে। কিন্তু এ রিপোর্ট গত মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত মহাখালীস্থ রাসায়নিক ল্যাব থেকে সিএমপি পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি।
তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা বিষয়ে সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান জয়নিউজবিডিকে বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। পুলিশ নিশ্চিত হওয়া ছাড়া কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে না। তাড়াহুড়া করতে গিয়ে নিরপরাধ কেউ যেন ফেঁসে না যায়, সেদিকেও নজর রাখতে হচ্ছে।
কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই জানিয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (বন্দর জোন) আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, তদন্ত চলমান আছে। আপাতত চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসেনি। তদন্ত শেষ হলে সব জানতে পারবেন।
নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিয়া কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার ডেইলপাড়া এলাকার মো. আমিনের মেয়ে। গত ১ মে সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়ার পরদিন পতেঙ্গায় নেভাল একাডেমির অদূরে ১৮ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।
জয়নিউজবিডি/এফএম/আরসি