বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকরা। করোনা মহামারির কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আবার তারা চালু করছে পর্যটন ভিসা।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বিদেশিদের নতুন করে পর্যটন ভিসা দেওয়া শুরু হবে। তবে যারা চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ভারতে যাবেন তাদের আগামী ১৫ অক্টোবর থেকেই ভিসা দেওয়া হবে।
গত বছরের মার্চে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে কোভিড-১৯ মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন, আতিথেয়তা এবং বিমান পরিবহন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে ভারতের সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য প্রথম পাঁচ লাখ বিদেশি পর্যটককে বিনামূল্যে ভিসা দেওয়ার একটা ঘোষণাও কিছুদিন আগে (১৯ সেপ্টেম্বর) এসেছে নয়াদিল্লি থেকে।
দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর বিষয়ে দেশটির কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়, পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং রাজ্য সরকারের মতো অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বিদেশি পর্যটকদের ভারতে আসার অনুমতি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রাজ্য সরকারের পাশাপাশি পর্যটন খাতের বিভিন্ন অংশীদারদের কাছ থেকে মন্ত্রণালয়ে আবেদন আসছে। আমরা আলোচনার পর ভ্রমণ বিধি-নিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ভারতে ভ্রমণকারী ৫ লাখ পর্যটককে বিনামূল্যে ভিসা দেওয়া হতে পারে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই ভিসার মেয়াদ আগামী বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত করা হতে পারে। প্রথম দফায় প্রায় পাঁচ লাখ ভিসা ইস্যু করতে ভারত সরকারের মোট ১০০ কোটি রুপি ব্যয় হতে পারে বলে জানান তিনি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, বিনামূল্যে ভিসা দেওয়ার এই পদক্ষেপ স্বল্পসময়ের জন্য ভারত সফরে আসা পর্যটকদের উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের এক মাস মেয়াদের ই-ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ প্রায় ২৫ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ২ হাজার ১৩৩ টাকা)। এছাড়া এক বছর মেয়াদের মাল্টিপল এন্ট্রি ই-ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ প্রায় ৪০ ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৩ হাজার ৪১৩ টাকা)।