চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮০ পিস স্বর্ণের বারসহ সিভিল অ্যাভিয়েশনের এক কর্মচারীকে আটক করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এবং বিমানবন্দর কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
শনিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৯টায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ৯ কেজি ২৮০ গ্রাম, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
বিমানবন্দর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা তৈয়বুর রহমান জানান, সকালে একটি ফ্লাইটে স্বর্ণের চালান আসতে পারে এমন খবরে সকাল থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় নজরদারি রেখেছিল গোয়েন্দা বিভাগ। সকাল ৯টার দিকে বিমানবন্দরের একটি টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর বেলালের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের। এ সময় তাকে থামতে নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তাকে ধাওয়া দিয়ে বিমানবন্দরের ভেতরেই পাকড়াও করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি প্যাকেটে থাকা এসব স্বর্ণ জব্দ করা হয়।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে বেলাল অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছেন। আমরা জানতে পেরেছি তার ডিউটি সময় সকাল ৭টায় শেষ হয়েছে। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টায়ও তিনি বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন। তিনি এতক্ষণ কেন বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন, তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি একেকবার একেক কথা বলেছেন। কখনো বলেছে দেরি হয়ে গেছে, কখনো বলেছেন তার গাড়ি আসতে দেরি হচ্ছে।
স্বর্ণ কীভাবে পেলেন, এই প্রশ্নের জবাবেও প্রথমবার তিনি আমাদের জানিয়েছেন, এটি কে বা কারা বাথরুমে এনেছেন তিনি জানেন না। বাথরুমে গেলে তিনি স্বর্ণের প্যাকেটটি পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় লোভ সামলাতে না পেরে এটি নিয়েছেন।
আবার তিনি বলেছেন, প্যাকটটিতে কী ছিল তিনি জানেন না। নেওয়ার পর বুঝতে পেরেছেন স্বর্ণ। অথচ প্রথমবার তিনি বললেন লোভ সামলাতে পারেননি। এসব কারণে আমাদের মনে হয়েছে তিনি স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান জানান, সকালে দুবাই থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি আমাদের বিমানবন্দরে এসেছে। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে ফ্লাইটটিতে স্বর্ণ চোরাচালান আসতে পারে। যেহেতু বাথরুম থেকে উদ্ধার হয়েছে, তাই আমরা শতভাগ নিশ্চিত নই।