দীর্ঘ সাত মাস পর ভারত থেকে কোভিড টিকা এল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত গত বছরের মার্চে টিকা রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা টিকার সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে রপ্তানি শুরু হলো। বাংলাদেশ বাকি পাওনা টিকার পুরোটাই শিগগিরই পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে ১০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে এসে পৌঁছে। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অক্টোবর মাস থেকে উদ্ধৃত্ত টিকা রপ্তানি ও অনুদান দেওয়া শুরু করবে ভারত- গত ২০ সেপ্টেম্বর দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া এ ঘোষণা দেন। নয়াদিল্লিতে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ভ্যাকসিন মৈত্রী’ কর্মসূচির অধীনে এসব টিকা রপ্তানি করা হবে।
এর মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির ৩ কোটি ডোজের মধ্যে আটকে থাকা ২ কোটি ৩০ লাখ টিকা সরবরাহ শুরু হলো। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। অগ্রিম অর্থও পরিশোধ করা হয়। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দুই চালানে ৭০ লাখ টিকা দিলেও ভারতের করোনা পরিস্থিতির কারণে ২ কোটি ৩০ লাখ টিকা আটকে দেয় দেশটির সরকার। এতে করে চরম সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। প্রায় ছয় মাস পর আবারও টিকা রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত সরকার।
সরকারের দেওয়া হিসেব মতে, কেনা, উপহার ও কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৭ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ।
এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৪১ লাখ ১৯ হাজার ৩৮৭ ডোজ, সিনোফার্মের ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬০০ ডোজ, মডার্নার ৫৫ লাখ এবং ফাইজারের টিকা এসেছে ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ।
দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে চীনের সঙ্গে সাড়ে ৭ কোটি, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি কেনার চুক্তি করেছে সরকার। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আরও সাড়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে উপহার বাদে মোট ২৪ কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।