নিজের প্রতিভাগুনে বারংবার প্রমান দিয়ে যাচ্ছেন লিটন কুমার দাস। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ থেকে ফিরে প্রথম বারের মত মাঠে নেমেছিলেন লিটন, আর নেমেই দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের জাত চিনিয়েছেন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খেলেছেন ২০৩ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।
কিছুদিন আগেই শেষ হওয়া এশিয়া কাপে খেলা জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এনসিএলের (ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ) প্রথম রাউন্ডে বিশ্রাম পেয়েছিলেন। তাই সেই রাউন্ডে খেলেননি ফাইনালে ম্যাচসেরা হওয়া লিটন দাস। দ্বিতীয় রাউন্ডে নেমে প্রথম ইনিংসে সুবিধা করে উঠতে পারেননি তিনি, আউট হয়েছিলেন মাত্র ১৭ রান করে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে এসেই ঠিকই দ্বিশতটা বাগিয়ে নিলেন দিনাজপুরে জন্ম নেওয়া এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে রাজশাহীতে টায়ার ওয়ানের ম্যাচে রাজশাহীর মুখোমুখি হয়েছে রংপুর বিভাগ। যেখানে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ফরহাদ রেজা ও মোহর শেখদের অনবদ্য বোলিংয়ে মাত্র ১৫১ রানেই গুটিয়ে গেছিলো রংপুর। পরে ব্যাট করতে নেমেও নিজেদের আধিপত্যটা ধরে রেখেছিলো টায়ার টু থেকে টায়ার ওয়ানে উঠে আসা রাজশাহী বিভাগ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে শান্ত-মিজানুরদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ৫৮৯ রানের পাহাড়সম স্কোর তুলে ইনিংস ঘোষণা দেই তারা।
৪৬৪ রানের বিশাল লিড মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে রংপুর। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে যেন রাজশাহীর বোলারদের মূর্তিমান আতঙ্ক বনে যান লিটন দাস। ইনিংসের শুরু থেকেই খেলতে থাকেন ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়ে। ফালাফলও আসে হাতেনাতে। মাত্র ৮১ বল মোকাবেলা করে ১৬ চার ও ১ ছয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান লিটন। তাইজুল ইসলামকে টানা দুই চার হাঁকিয়ে ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন তিনি। এটি তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ১৩ তম সেঞ্চুরি।
তবে ওতেই তৃপ্ত থাকেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান, জ্বলেছেন আরো বেশি। নিজের শতকটাকে দ্বিশতক বানাতে পরে খেলেছেন মাত্র ৫৯ বল। সেঞ্চুরির মতো ডাবলটাও পূর্ণ করেছেন প্রায় একইভাবে। ব্যক্তিগত ১৯৯ থেকে সেই তাইজুলকে চার হাঁকানোর পথে ছুঁয়ে ফেলেন এই মাইলফলক।
দুশো রানের কোটা পার করার পর অবশ্য এর ঠিক এক বল পরই আউট হয়ে যান লিটন। ১৪২ বলে ৩২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২০৩ রানের আলো ঝলমলে ইনিংস খেলেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। তার বিদায়ে ভাঙে ২১৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
এর আগে, ২৬ এপ্রিল ২৭৪ রান করার পথে ১৯০ বলে পূর্ণ করেছিলেন ২০০। বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ২০০ রান ছিল সেটাই। আজ সেই রেকর্ড ভঙলেন তিনি নিজেই। এবার বল কমলো আরো ৫০, ১৪০ বলেই পূর্ণ করেছেন ২০০।
জয়নিউজ/শহীদ